২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
পলাতক আসামি গ্রেফতার

কেরানীগঞ্জে পদ-প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধে খুন হন চেয়ারম্যান আতিক

-

পদ-প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরী।
২০১৩ সালে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার রায়ে আদালত আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর থেকে আত্মগোপনে চলে যায় মামলার অন্যতম আসামি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তাজুল ইসলাম তানু। দেশের বিভিন্ন স্থানে সে পালিয়ে বেড়িয়েছে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। হত্যাকাণ্ডের ৯ বছর পর সে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছে। গতকাল রোববার রাজধানীর বংশালে অভিযান চালিয়ে আসামি তাজুল ইসলাম তানুকে গ্রেফতার করা হয়।
বিকেলে র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক মো: ফরিদ উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহ্বায়ক আতিক উল্লাহ চৌধুরীর সাথে নির্বাচনের প্রার্থিতা ও সভাপতির পদ নিয়ে আরেক আসামি গুলজারের বিরোধ চলছিল। গুলজার বেশ কয়েকবার আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে বিভিন্ন প্রকার হুমকিও দেন। আতিক উল্লাহ চৌধুরী তার কথায় কোনো কর্ণপাত না করলে গুলজার ও তাজুল ইসলাম তানু মিলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তানুর পরিকল্পনা অনুযায়ী গুলজার আতিক উল্লাহ চৌধুরীর গতিবিধি লক্ষ্য রাখার জন্য সম্পা নামক এক নারীকে নিয়োগ করে।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পা প্রেমের ফাঁদে ফেলে আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে তার সাথে দেখা করার জন্য কোন্ডা হাসপাতালের গেটে আসতে বলে। আতিক হাসপাতাল গেটে আসামাত্র পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা গুলজার ও তানু আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে রিকশা থেকে নামিয়ে হাসপাতালের দক্ষিণ সীমানা বরাবর রাস্তায় নিয়ে যায়। সেখানে তানুর নেতৃত্বে ভাড়াটে খুনি জাহাঙ্গীর ওরফে জাহাঙ্গীর খাঁ, আহসানুল কবির ইমন, রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন, শিহাব আহমেদ শিবু, আসিফের হাতে তুলে দেয়। তারা মুখ চেপে ধরে কোলে করে তাকে হাসপাতালের পশ্চিম পাশের সীমানা ঘেঁষা নিচু জমিতে নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে আতিক উল্লাহর পাঞ্জাবি ছিঁড়ে মুখ বেঁধে অন্যান্য আসামির সহায়তায় তানু মুখ চেপে ধরে গলাটিপে হত্যা করে। পরে পরিচয় গোপন করা জন্য তানুর নির্দেশে আসামিদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের পেট্রল আতিক উল্লাহর গায়ে ছিটিয়ে পুড়িয়ে ফেলে পালিয়ে যায়।
র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতার তানু ঘটনার সাথে তার সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement