সিগারেটের ধোঁয়ায় ৭ হাজারেরও বেশি রকমের রাসায়নিক
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৯ মে ২০২৩, ০১:১৩
সিগারেটের ধোঁয়ায় ৭ হাজার ৩৬৫ রকমের রাসায়নিক রয়েছে। যার মধ্যে ৭০টি রাসায়নিক কারসিনোজেনিক রয়েছে। যা মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটি ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্সের সদস্য এবং মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর ডা: অরূপ রতন চৌধুরী।
গতকাল পিকেএসএফ ভবনে আয়োজিত সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। সেমিনারে অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডা: প্রাণ গোপাল দত্ত।
সেমিনারে বলা হয় ধোঁয়াযুক্ত তামাকের ব্যবহারে যিনি সরাসরি খাচ্ছেন তার চেয়ে তার আশপাশের পরোক্ষভাবে ধোঁয়া গ্রহণকারী মানুষরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। মহিলাদের স্তন ক্যান্সার এবং শিশুদের নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস ও হুপিং কাশির অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে পরোক্ষ ধূমপান।
‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে তামাকবিরোধী জাতীয় প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত এ সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি অন্তরায় তামাক। তামাক ব্যবহারের জন্য দেশে তামাকজনিত অসংক্রামক রোগ এবং এর ফলে অপরিণত বয়সে মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তামাক সেবনজনিত রোগের চিকিৎসা বাবদ একদিকে যেমন সরকারকে স্বাস্থ্যখাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। অন্য দিকে তামাক চাষের ফলে উর্বর জমিতে খাদ্যশস্য চাষের সুযোগ কমে যাচ্ছে।
অতিথির বক্তব্যে ডা: প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি পাঠ্যপুস্তকে ধূমপানের ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কে আরো বিশদভাবে তুলে ধরার আহ্বান জানান এবং তামাকের ক্ষতিকর দিক মোকাবেলায় পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন গড়ে তোলার ব্যাপারে জোর দেন।
সভাপতির বক্তব্যে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি তামাক রফতানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক পুনর্বহাল করার দাবি তোলেন। কৃষি মন্ত্রণালয়কে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে আরো জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
ড. আহমদ বলেন, পিকেএসএফ বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্পের আওতায় তামাকবিরোধী কার্যক্রম বিশেষ করে তামাকের জমিতে বিকল্প ফসল উৎপাদনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফের সিনিয়র উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম তৌহিদ। সেমিনারে ‘টেকসই উন্নয়নে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন : পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞার হেড অব প্রোগ্রাম মো: হাসান শাহরিয়ার ও ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলাও : পিকেএসএফের প্রচেষ্টা’ শীর্ষক উপস্থাপনা প্রদান করেন পিকেএসএফের পিপিইপিপি প্রকল্প পরিচালক ড. শরীফ আহম্মদ চৌধুরী। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ‘কৃষি জমিতে আর নয় তামাক’ শীর্ষক একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা