২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মেহেরপুরে করোনা ভ্যাকসিন প্রদানকারী স্বেচ্ছাসেবীদের টাকা আত্মসাৎ !

-


কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন প্রদানকারী স্বেচ্ছাসেবী ও নার্সদের সম্মানীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবীকে ৫৮ হাজার ৮০০ টাকা করে দেয়ার কথা থাকলেও অনেকেই তা পাননি। এ ছাড়া ভুয়া স্বাক্ষরেও নামে-বেনামে তুলে নেয়া হয়েছে সম্মানীর অর্থ। মেহেরপুর সিভিল সার্জন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


মেহেরপুর জেলার গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স ও স্বেচ্ছাসেবীদের নামে সম্মানী বিল প্রদানের দু’টি কপিতে দেখা গেছে, ৩০ জনের স্বাক্ষরে বিল তোলা হয়েছে ১৭ লাখ ৬৪ হাজার ৮০০ টাকা। অথচ ভ্যাকসিন প্রদানকারী নার্স ও স্বেচ্ছাসেবীরা বলছেন, তারা কেউই তাদের প্রাপ্য অর্থের পুরোটা পাননি। কেউ কেউ আছেন যারা কোনো টাকাই পাননি। আবার তালিকায় এমন কিছু নাম আছে, যাদের কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স আমেনা খাতুন জানান, করোনা মহামারীর সময়ে সব ভয় উপেক্ষা করে তারা মানুষকে ভ্যাকসিন দেন। কিছু দিন আগে তারা জানতে পারেন তাদের একেকজনের নামে ৫৮ হাজার ৮০০ টাকা করে বিল তোলা হয়েছে। বিলের কপি হাতে পেয়ে তিনি ও তার সহকর্মী রোকেয়া খানম, শাকিলা ও রাবেয়া খাতুন হাসপাতালে টিকাদান কর্মকর্তা আব্দুর রশীদের সাথে দেখা করেন। আব্দুর রশিদ জানান, ওই তালিকায় নার্সদের নাম থাকলেও সে নামগুলো তাদের নাম নয়। এ জন্য তারা কোনো টাকা পাবেন না। সিনিয়র স্টাফ নার্স রোকেয়া খানম বলেন, তারা টিকাদানকারী কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি বলেন, দেশে রোকেয়া খানম তো আর একজন নন। ওই নাম অন্য রোকেয়া খানমের। বাকি নামও অন্যদের। বিষয়টি নিয়ে তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে গেলেও কোনো সমাধান পাননি। আবার তালিকায় থাকা একাধিক স্বেচ্ছাসেবী জানান, তারা বিলের কোনো কপিতেই স্বাক্ষর করেননি। তাদের নামে টাকা তোলার কোনো খবরই তারা জানেন না।


অভিযোগ নিয়ে কথা হয় হাসপাতালের টিকাদান কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের সাথে। তিনি বলেন, তালিকার নামগুলো অন্যদের। তাদের কাছে এখনো দুই লাখ টাকা রয়েছে। সেগুলো স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য। তবে ইতঃপূর্বে টাকাগুলো কাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে- এর কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।
এ দিকে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিলের তালিকা থেকে দেখা গেছে, টিকাদান কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ ইতঃপূর্বে তার ছেলে রকিবুল হাসান, ছেলের বউ মেঘলা খাতুন ও ভুয়া নাম মেহেদি হাসানের নামে বিল তুলেছেন।
মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকাদান কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ এই প্রতিবেদককে প্রথমে বিলের তালিকা দেখাতে রাজি হননি। পরে এই প্রতিবেদক নিজে তার সামনে তালিকা তুলে ধরলে তিনি ঘাবড়ে যান। অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি নিজ হাতে কোনো স্বেচ্ছাসেবীকে টাকা দেননি বলে দাবি করেন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সুপ্রভা রানী বলেন, বার বার তাগিদ দেয়ার পরও টিকাদান কর্মকর্তা কোনো স্বেচ্ছাসেবীদের তালিকা দেননি। দুই বার চিঠিও দেয়া হয়েছে তাকে। কিন্তু এখনো তালিকা পাননি তিনি।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা: জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ তার কাছে অভিযোগ করেননি। তবে বিষয়টি জানার পর এখন তিনি নিজেই তদন্ত করবেন। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গাজার ২টি হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান, তদন্তের আহ্বান জাতিসঙ্ঘের তীব্র তাপদাহে পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বিএনপির ৬ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ, সিলেট বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা মাতামুহুরিতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ২ আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ ফেনীতে ইসতিসকার নামাজে মুসল্লির ঢল গাজা যুদ্ধের মধ্যেই ১০০ শতাংশ ছাড়িয়েছে ইসরাইলের সামরিক ব্যয় মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা : কাদের গ্যাটকো মামলা : খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শুনানি ২৫ জুন বুড়িচংয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ গলাচিপায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ৩টি সংগঠনের নেতৃত্বে মানববন্ধন

সকল