২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

হজযাত্রী নিবন্ধনে সপ্তম বার বাড়লো সময়

বাকি প্রায় ৯ হাজার
-

দফায় দফায় সময় বাড়ানো ও খরচ কমিয়েও হজযাত্রী নিবন্ধনে আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। ষষ্ঠ দফা সময় বাড়ানোর পর গত তিন দিনে মাত্র ৯১২ জন নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। ফলে এখনো আট হাজার ৯১২ জনের কোটা খালি রয়েছে। এ জন্য সপ্তম বারের মতো সময় বাড়িয়েছে সরকার। নিবন্ধনের জন্য ফের আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সৌদি আরবের সাথে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে পারবেন এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন। এজন্য গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়েছে। এরপর ছয় দফা সময় বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোটা পূরণ হয়নি। এবার হজযাত্রায় প্রায় সাত লাখ টাকা নির্ধারণ করায় খরচ অনেক বেড়ে গেছে। এ কারণে অনেকে নিয়ত থাকার পরও হজে যেতে পারছেন না। জানা যায়, সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু গত তিন দিনে মাত্র ৯১২ জন নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে মাত্র ৪৩ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় করেছেন ৮৬৯ জন। গত ২৭ মার্চ রাত ৮টা পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেছিলেন এক লাখ ১৭ হাজার ৩৭৪ জন। গতকাল রাত ৮ টা পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ১৮ হাজার ২৮৬ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট নিবন্ধন করেছেন ৯ হাজার ৯৩৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন এক লাখ আট হাজার ৩৫১ জন। ফলে মোট কোটা পূরণ হতে এখনো আট হাজার ৯১২ জন বাকি রয়েছে।
জানা যায়, গত ২২ মার্চ বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের হাজিদের জন্য মিনায় তাঁবুর খরচ ৪১৩ রিয়াল কমায় সৌদি সরকার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ১১ হাজার ৭২৫ টাকা। এতে বাংলাদেশেও খরচ কমানোর ঘোষণা দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। কিন্তু এরপরও আশানুরূপ সাড়া মিলছে না হজ নিবন্ধনে। খরচ কমানোর পর ছয়দিনে নিবন্ধন করেছেন মাত্র আড়াই হাজার জন। হজযাত্রী নিবন্ধনে কাক্সিক্ষত সাড়া না থাকায় সপ্তম দফা সময় বাড়ানোর পরও বাকি প্রায় ৯ হাজার হজযাত্রী পূরণ হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement