২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

১/১১’র কুশীলবরা আবার বিশেষ ধরনের সরকারের স্বপ্ন দেখছে : তথ্যমন্ত্রী

জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন ড. হাছান মাহমুদ : নয়া দিগন্ত -

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এক-এগারোর কুশীলবরা আবার দেশে-বিদেশে সক্রিয় হয়েছে। তারা আবার বিশেষ ধরনের সরকারের স্বপ্ন দেখছে। বিএনপিও তাদের সাথে যোগ দিয়েছে। কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না, বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় না। বাংলাদেশে সেটি কখনো হবে না।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জিল্লুর রহমান পরিষদ আয়োজিত এ সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং জিল্লুর রহমান তনয়া তানিয়া রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বুঝতে পেরেছে, নির্বাচনে তাদের কোনো আশা নেই। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়ে তারা সিট পেয়েছিল ২৯টা। ২০১৪ সালে নির্বাচন থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম-তালেবান সবাইকে নিয়ে, ড. কামাল হোসেনের মতো মানুষকে হায়ার করেও মহিলা আসনসহ সিট পেয়েছিল মাত্র সাতটি। তিনি আরো বলেন, গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে। বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতির কারণে মানুষ যে তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সেটিও তারা অনুধাবন করতে পেরেছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এসব কারণে এক-এগারোর কুশীলবরা, বিএনপি আর বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিসহ সবাই এক জোট হয়ে দেশে একটি গণ্ডগোল লাগানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় হয়েছে; কিন্তু সেটি বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো হতে দেবে না। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন যথাসময়ে এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। সমস্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশের মতো আমাদের দেশেও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন, তার সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, সে সময়ের সঙ্কটকালে ধৈর্যশীল ও অবিচল থেকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার শিক্ষা জিল্লুর রহমানের কাছ থেকে আমরা পেয়েছি। দেশের ইতিহাসে, দেশের রাজনীতির ইতিহাসে একজন ভালো মানুষ এবং অজাতশত্রু রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ তার বক্তৃতায় মরহুম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্মৃতিচারণ করেন এবং তার রূহের শান্তি কামনা করেন। তানিয়া রহমান তার মরহুম পিতার রূহের শান্তির জন্য সবার কাছে প্রার্থনার আবেদন জানান।
জিল্লুর রহমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো: আক্তারুজ্জামান খোকার সভাপতিত্বে এবং রোকন উদ্দীন পাঠানের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, অ্যাডভোকেট এ বি এম বায়েজিদ, মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ সভায় বক্তব্য দেন।


আরো সংবাদ



premium cement