০৩ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯, ১৩ জিলকদ ১৪৪৪
`

উন্নত খেজুরকে নিম্ন মানের দেখিয়ে আমদানি

-

উন্নত জাতের খেজুরকে নিম্নœমানের দেখিয়ে আমদানি করে এক দিকে বিপুল রাজস্ব ফাঁকি ও মুদ্রা পাচার এবং আমদা নিমূল্যের চেয়ে চার-পাঁচ গুণ বেশি দামে খেজুর বিক্রির তথ্য উঠে এসেছে জেলা প্রশাসনের অভিযানে। গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের ফলমন্ডিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের কথা আগে থেকে জেনে গেলে ১২ জন খেজুর আমদানিকারকের মধ্যে ৯ জন দোকান বন্ধ রাখে। খোলা পাওয়া ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
খেজুরের দাম নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন গতকাল বেলা ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত দেশের বৃহত্তম ফলের বাজার চট্টগ্রাম ফলমুন্ডিতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: তৌহিদুল ইসলাম এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত নেতৃত্ব দেন।
তারা জানান, গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে ৪০ হাজার ২৪ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি হয়েছে। এগুলোর গড়মূল্য ৮৯ টাকা ৩৬ পয়সা। কিন্তু ফলমুন্ডির আড়তে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে বিভিন্ন জাতের খেজুর চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে আজওয়া ৭৫০-১০০০ টাকা, মাবরুম ১২০০-১৩০০ টাকা, মরিয়ম ৫০০-৮০০ টাকা, দাবাস ৪০০-৬০০ টাকা, জাহিদি-২০০-২৫০ টাকা, মেজডুল খেজুর ১২০০-১৩০০ টাকা, আলজেরিয়া খেজুর ২৫০-৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি তথ্য ও বাস্তব বাজার দরে বিস্তর পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
আমদানি তথ্য মতে ফলমন্ডি বাজারে খেজুরের আমদানিকারক আছে ১২ জন। অভিযানে গিয়ে তিন আমদানিকারকের সন্ধান মেলে। এদের মধ্যে আল্লাহর রহমত স্টোর গত ডিসেম্বর ’২২ থেকে মার্চ ’২৩ পর্যন্ত মোট ২৫৭২ মেট্রিক টন খেজুর ৩৩ টি এলসির মাধ্যমে আমদানি করেছে। গড় আমদানি মূল্য ৭০ টাকা ১৪ পয়সা।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: তৌহিদুল ইসলাম জানান, আল্লাহর রহমত স্টোরটি জাহিদি, নাসার, আল মাদাফ, ফারাহ মধ্যম জাতের খেজুর আমদানি মূল্যের চেয়ে তিন-চারগুণ বেশি দামে বিক্রি করছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের দায়ে আল্লাহর রহমত স্টোরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইভাবে আলী জেনারেল ট্রেডিং ১৬৮ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি করেছে ১০৪ টাকা কেজি মূল্যে। কিন্তু জাহিদি জাতের খেজুর ২৫০-৩০০ টাকা দরে বিক্রির প্রমাণ মিলেছে। এই প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ফ্রেশ ফ্রুট গ্যালারিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই পাইকারি দোকানটি ঢাকাভিত্তিক বাংলাদেশের বৃহত্তম খেজুর আমদানিকারক অ্যারাবিয়ান ফ্রুট ফ্যাক্টরি লিমিটেড এবং মদিনা ট্রেডিংয়ের হয়ে চট্টগ্রামে চড়া দামে খেজুর বিক্রি করছিল।
আমদানি তথ্য মতে, অ্যারাবিয়ান ফ্রুটস ফ্যাক্টরি লিমিটেড মোট ৯২১১.৭৫২ মেট্রিক টন খেজুর কেজিপ্রতি ৮৪ টাকা-৬৪ টাকা দরে আমদানি করেছে। আজওয়া, মেজডুল, মাবরুক, সাফওয়া, মরিয়ম প্রভৃতি উন্নত জাতের খেজুর আমদানি করেও সেগুলো কম দাম দেখিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়েছে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে। এরপর এই খেজুর চড়া দামে বিক্রি করছে। জাতভেদে খেজুরের দাম পাঁচশত টাকা থেকে হাজার টাকার উপরেও বিক্রি হচ্ছে। মদিনা ট্রেডিংও একইভাবে খেজুর স্বল্পমূল্যে আমদানি এবং চড়া মূল্যে বিক্রি করছে। পাইকারি ফল ব্যবসায়ীদের তথ্য মতে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো: সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চড়া দামে পাইকারি খেজুর ব্যবসায়ী ও কমিশন এজেন্টদের বাধ্য করছেন।


আরো সংবাদ


premium cement
রশিদ খানকে টেস্টে ভয় পান না আকরাম, আফগানিস্তানকে করছেন সমীহ কৃষি মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই পেয়াজ আমদানী : বাণিজ্যমন্ত্রী বসিক নির্বাচন : প্রার্থীদের বিরামহীন প্রচারণা বাজেটে ঋণের ওপর অতি নির্ভরতায় যেসব সঙ্কট হতে পারে আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু আসে যায় না : প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় লোডশেডিং আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে : প্রতিমন্ত্রী দাদা আল্লামা ইয়াহইয়ার বিদায়ের কয়েক ঘণ্টা পর নাতি ‘ইয়াহইয়া’র জন্ম ভারতে আড়াই লাখ কেজি দরে নিলামে আম বিক্রি ইভিএমই ভোট প্রয়োগের একমাত্র সঠিক মাধ্যম : ইসি আহসান হাবিব ব্রাহ্মণপাড়ায় সাইনবোর্ড থাকলেও নেই কোনো পারিবারিক পুষ্টি বাগান ডিআইটি পুকুর রক্ষার মানববন্ধনে পুলিশী বাধায় ‘বিএনসিএ’র নিন্দা

সকল