ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরও বেপরোয়া গতি : ৩১ গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা

পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরে ইমাদ পরিবহন দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহতের পর এখনো বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চলছে ওই সড়কে। মহাসড়কে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গতিসীমা লঙ্ঘন করায় মঙ্গলবার সকাল থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরদিন সোমবার একই অপরাধে মামলা হয় মোট ২৫টি। এ ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। গতিসীমা লঙ্ঘন করার অপরাধে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ২৮৪টি মামলা করে হাইওয়ে পুলিশ। জানুয়ারিতে এ সংখ্যা ছিল ৩১৫টি।

শিবচর হাইওয়ে থানার ওসি আবু নাইম মো: মোফাজ্জেল হক বলেন, গতিসীমা লঙ্ঘন করায় মঙ্গলবার সকাল থেকে এ পর্যন্ত ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরদিন সোমবার একই অপরাধে মামলা হয় ২১টিসহ ২৫টি। এ ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
এ দিকে জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরা বলেন, ‘তদন্তের জন্য নির্ধারিত দ্বিতীয় দিনের কাজ এখনো চলছে। আমরা কাজ করছি। বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী আজ রাত ১২টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।’

রোববার ভোরে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর সীমানা এলাকায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৪ জন নিহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পর আরো তিনজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরো দু’জনের মৃত্যু হয়।
ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে খাদে পড়ে ১৯ জন নিহতের ঘটনায় বাস কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করে শিবচর থানায় মামলা করেছেন হাইওয়ে পুলিশ। রোববার গভীর রাতে শিবচর হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট জয়ন্ত সরকার বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।