১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সম্পর্ক বাড়াতে হলে নৃশংসতার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে : পাকিস্তান সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কলম্বোতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রাব্বানী খারের সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সাক্ষাৎ : নয়া দিগন্ত -

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক বাড়াতে হলে পাকিস্তানকে ১৯৭১ সালের নৃশংসতার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। কলম্বো সফর শেষে গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি ঢাকা সফরতর মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইলের সাথে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক বাড়াতে চায় পাকিস্তান। তবে আমি বলেছি, ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিকভাবে মা চাওয়া উচিত। তাহলেই সম্পর্ক বাড়বে। শ্রীলঙ্কার ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলম্বো গিয়েছিলেন। এই অনুষ্ঠানের সাইডলাইনে গত শনিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাতে হিনা রাব্বানি দুই দেশের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ জোরদারের পাশাপাশি পর্যটন এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, হিনা রব্বানি খারের সাথে আমার বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তান সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী। আমি তাকে বলেছি, ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর সংঘটিত নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তাহলেই সম্পর্ক বাড়বে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, হিনা রব্বানি বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বাড়াতে চায় পাকিস্তান। আমি বলেছি, বাংলাদেশী পণ্যের ওপর পাকিস্তান অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করে রেখেছে। বাণিজ্য কিভাবে বাড়বে?
ড. মোমেন বলেন, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আমার আলাপ হয়েছে। শ্রীলঙ্কা বৌদ্ধ অধ্যুষিত দেশ। মিয়ানমারে সাথে তাদের সম্পর্ক ভালো। আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে শ্রীলঙ্কার সহযোগিতা চেয়েছি।
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. বিমলা রাই পাউডিয়ালের সাথে বৈঠক সম্পর্কে তিনি বলেন, সার্ক শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমি বলেছি, শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য ভারত ও পাকিস্তানের সাথে আলোচনা করুন। আমরা পাশে আছি। ঢাকায় মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, মালয়েশিয়ায় ৬৫ হাজার বাংলাদেশী কর্মী পাঠানো হয়েছে। আরো এক লাখ ৩৫ হাজার কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় অনেকে বেশি টাকা দিয়ে গিয়েছে। এটি একটা সমস্যা। মালয়েশিয়ায় নতুন সরকার এসেছে। তারা এ সমস্যা সমাধান করবে বলে আমি আশা করি।


আরো সংবাদ



premium cement