শঙ্কা কেটে আস্থা ফিরছে বিক্রেতাদের
- আবুল কালাম
- ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০৫
কাগজ কালিসহ ছাপা উপকরণের দাম বৃদ্ধির সময়ে মেলা শুরুর আগে নানান শঙ্কায় ছিলেন প্রকাশকরা। কিন্তু গত চার দিনের লোকসমাগম ও বিক্রিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, তাদের মধ্যে এখন আশঙ্কা কাটতে শুরু করেছে। মেলা শুরুর পর এ পর্যন্ত পাঠকের উপস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে এবার মেলা জমবে।
দুই দিন ছুটি শেষে গতকাল ছিল কর্মদিবস। তাতেও মেলায় লোকসমাগম খারাপ হয়নি। তবে ছুটির দুই দিনের চেয়ে কম হয়েছে। মেলার দরজা খুলে দেবার পর তেমন লোকসমাগম ছিল না। কিন্তু সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে লোক বাড়তে থাকে। সূর্য ডোবার পর লোকে-লোকারণ্য হয়ে পড়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
অন্য দিকে বাংলা একডেমি প্রাঙ্গণে তেমন লোকসমাগম ছিল না। বিক্রেতারা জানান, প্রতিদিনই বাংলা একাডেমি চত্বরে লোক কম হয়। এখানে স্টল যেমন কম তেমনি বিক্রিও কম। সে সাথে পাঠকও কম আসেন।
গতকাল বইমেলার পঞ্চম দিনে মেলা শুরু হয় বেলা ৩টায়। মেলায় নতুন বই এসেছে ৭৩টি। বিকেল ৪টায় মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ : সমরজিৎ রায় চৌধুরী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহিদ মুস্তাফা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মইনুদ্দীন খালেদ ও মুস্তাফা জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পী হাশেম খান। প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলাদেশের বরেণ্য শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী হাতে লেখা বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম নকশাবিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান লোগোসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের লোগোর প্রণেতা। তিনি ছবি আঁকতেন আমাদের দেশের রূপবৈচিত্র্যকে বিষয়বস্তু করে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও ছবি এঁকেছেন তিনি। এ ছাড়া নিসর্গ ও মানুষ ছিল তার প্রিয় বিষয়। গ্রামীণ দৃশ্যাবলি, সেই সাথে তার শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত দৃশ্যাবলি তাকে অনুপ্রাণিত করেছে। শিল্পী সমরজিৎ তার জীবনব্যাপী প্রগতিশীল আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করেছেন। শান্তির অন্বেষায় তার চিত্রপটে রঙ, রেখা, রূপ- সব একাকার হয়ে আছে।
লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কুদরত-ই-হুদা, বায়তুল্লাহ কাদেরী, আবু সাঈদ তুলু, ফরিদুর রহমান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি আলতাফ হোসেন, আসলাম সানী ও মারুফ রায়হান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মীর বরকত, ইকবাল খোরশেদ ও কাজী বুশরা আহমেদ তিথি। এ ছাড়া ছিল ফয়জুল আলম পাপ্পুর পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন ‘প্রকাশ সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন’-এর পরিবেশনা। সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ইয়াকুব আলী খান, সালাউদ্দিন আহমদ, সুজিত মোস্তফা, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি ও প্রিয়াংকা গোপ। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন সুবীর চন্দ্র ঘোষ (তবলা), ইফতেখার হোসেন সোহেল (কী-বোর্ড), ফিরোজ খান (সেতার) ও মো: হাসান আলী (বাঁশি)।
আজ সোমবার বইমেলার ষষ্ঠ দিন। মেলা শুরু হবে বেলা ৩টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ : কাজী রোজী এবং স্মরণ : দিলারা হাশেম শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন নাসির আহমেদ ও তপন রায়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন আসলাম সানী, শাহেদ কায়েস, আনিসুর রহমান ও শাহনাজ মুন্নী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অসীম সাহা। গতকাল মেলায় এসেছে নতুন বই রক্তাক্ত দিনগুলো (১৯৭৫-৮১), লেখক এম সাখাওয়াত হোসেন, প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন। প্রতি মঙ্গলবার আমরা বই ছাড়া স্কুলে যাই, লেখক পলাশ মাহবুব, প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন। মুক্তিযুদ্ধে ভারত ও অন্যান্য, লেখক সালাম আজাদ ও ডেটা সাংবাদিকতা, লেখক পলাশ দত্ত। বই দু’টির প্রকাশক ঐতিহ্য প্রকাশনী।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা