১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গুজরাটে বিজেপির রেকর্ড জয়, হাতছাড়া হিমাচল মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ

-

গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনে ১৫৭ আসনে গুজরাটে জয় পেয়েছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। বিপরীতে কংগ্রেস পায় মাত্র ১৬টি আস। আম আদমি পার্টি পেয়েছে পাঁচটি। এনডিটিভি।
গত ২৭ বছর ধরে এই রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি। গত কয়েক দশক ধরেই গুজরাট দেখেছে কংগ্রেস-বিজেপির দ্বিমুখী লড়াই। বিধানসভা ভোটে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়ার রেকর্ড এবার ভেঙে দিয়েছে বিজেপি। এর আগে কোনো দল বিধানসভা ভোটে এত আসনে জেতেনি। অন্য দিকে কংগ্রেসের ভোট গতবারের তুলনায় কমেছে ১৫ শতাংশ। আর আম আদমি পার্টি পেয়েছে ১৪ শতাংশ ভোট। গুজরাটে আগামী ১২ ডিসেম্বর শপথ নিতে পারেন ভূপেন্দ্র পটেল ও তার মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা। বিষয়টি জানিয়েছে গুজরাট বিজেপির সভাপতি সিআর পাটিল। এবার কংগ্রেস থেকে হার্দিক প্যাটেলসহ একাধিক নেতা ও বিধায়ক বিজেপিতে চলে যান। অল্পেশ ঠাকোরের মতো প্রভাবশালী নেতারাও নাম লেখান। ফলে বিজেপি সেই আসনগুলোয় জয়ী হয়েছে। ফলে ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও বিজেপি রেকর্ড সংখ্যা নিয়ে গুজরাটে ক্ষমতায় আসছে। মোদি-অমিত শাহ আবারও প্রমাণ করলেন, তাদের দুর্গে ভাঙনের ক্ষমতা কংগ্রেস বা আপের নেই। এ দিকে হিমাচল প্রদেশে প্রথম থেকেই বিজেপি ও কংগ্রেসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কখনো কংগ্রেস এগিয়ে কখনো বিজেপি। সময়ের ব্যবধানে কংগ্রেসের সাথে বিজেপির এগিয়ে থাকা আসনের পার্থক্যও বেড়ে যায়। সবশেষ প্রতিবেদনে জানা গেছে, হিমাচলে কংগ্রেস পেয়েছে ৩৯, আর বিজেপি ২৬। অন্য দিকে আপ কোনো আসন পায়নি এবার।
হিমাচলের বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্যসরকারের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর ইতোমধ্যে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়ে পদত্যাগপত্রও জমা দিয়েছেন। ভারতের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গুজরাট বিধানসভার ১৮২টি আসনের মধ্যে ১৫৭টিতেই জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা, এই প্রাপ্তির মাধ্যমে নিজেদের ‘ঘাঁটি অঞ্চল’ নামে পরিচিত ভারতের এই পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যে রেকর্ডভাঙা এক জয়ের পথে এগিয়ে চলছে ভারতীয় জনতা পার্টি।


অন্য দিকে, ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে হিমাচলের বিধানসভার দখল পেলেও সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনের ফলাফল বলছে, এখন থেকে উত্তরাঞ্চলীয় এই রাজ্যটির বিধানসভা থাকবে কংগ্রেসের দখলে। কারণ, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী হিমাচল বিধানসভার ৬৮টি আসনের মধ্যে ৩৯টিতে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসপ্রার্থীরা, আর বিজেপি প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন ২৬টি আসনে।
ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরপরই হিমাচলের গভর্নরের কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা জয়রাম ঠাকুর। পদত্যাগপত্র জমা দিতে এসে গভর্নরের কার্যালয়ে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি জনগণের রায় মেনে নিয়েছি। এ কারণেই এখানে আসা।’
কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গে হিমাচল বিধানসভা জয়ের এই কৃতিত্ব দলের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী ও হিমাচল রাজ্য কংগ্রেসকে দিয়েছেন। আর পৃথক এক টুইটবার্তায় হিমাচল রাজ্য কংগ্রেসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘আমি হিমাচলের জনগণ, আমাদের কর্মী ও নেতাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের ব্যাপক শ্রম ও প্রচেষ্টার ফসল এই জয়।’

 


আরো সংবাদ



premium cement