২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পুঁজিবাজারে আবার পতন

ডিএসইর লেনদেন ৩০০ কোটির ঘরেই
-

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দেশের প্রধান দুই শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সব ক’টি মূল্যসূচক কমেছে। এর মাধ্যমে সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।
মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য লেনদেন তিন শ’ কোটি টাকার ঘরেই আটকে আছে। একই সাথে বড় হয়েছে দাম কমার তালিকা। ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় যে ক’টি প্রতিষ্ঠান স্থান করে নিয়েছে, তার দ্বিগুণের বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে দাম কমার তালিকায়।
অবশ্য দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি। দাম অপরিবর্তিত থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে। ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার যেসব বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে, তারা ক্রেতার অভাবে তা বিক্রি করতে পারছেন না।


এ দিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। তবে এর পরই বদলে যেতে থাকে বাজারের চিত্র। দরপতনের তালিকায় নাম লেখাতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান; যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। ফলে সব ক’টি সূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়। একই সাথে বড় হয় দরপতনের তালিকা।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৫টির। আর ২২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সব ক’টি মূল্যসূচক কমার দিনে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৪৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩১৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৩১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।


ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেনেক্স ইনফোসিসের ১৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমরা নেটওয়ার্ক। এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন, নাভানা ফার্মা, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, এডিএন টেলিকম ও অগ্নি সিস্টেম।
এক দিন অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৭৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে তিন কোটি ৩৫ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ১২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪২টির এবং ৭২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।


ব্লকমার্কেট : প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে সোমবার ৪৮টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৪৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৩৭ লাখ ২ হাজার ৫৭৮টি শেয়ার ১৪০ বার হাত বদলের মাধ্যমে ৪৭ কোটি ৭৪ লাখ দুই হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৮ কোটি ৭৯ লাখ ৬২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে রেনেটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আট কোটি ৫৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার ফরচুন সুজের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ তিন কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের।

 


আরো সংবাদ



premium cement