১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে চীনের বিভিন্ন শহরে

-

চীনে সরকারের কঠোর কোভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলার মধ্যেই টানা পঞ্চম দিনের মতো রেকর্ড কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, আগের দিন রোববার দেশটিতে স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত ৪০ হাজার ৫২ জন করোনাভাইরাসবাহী শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন শনিবার ৩৯ হাজার ৫০৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। তার আগের দিন শুক্রবার ৩৫ হাজার ১৮৩ জনের দেহে অত্যন্ত সংক্রামক এ ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। রয়টার্স।
মেগাসিটি গুয়াংজু এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের চংশিং শহরে হাজার হাজার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এসব মহানগরী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এর পাশাপাশি রোববার চীনের আরো অনেক শহরে শত শত মানুষের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়। এ দিন দেশটির বৃহত্তম শহর সাংহাই, রাজধানী বেইজিং, প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছিল যেই শহরে সেই উহান ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লানচোতে সরকারের কোভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়। নানজিং, ছাংদু ও উহানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বিক্ষোভ হয়েছে।


রোববার রাতে সাংহাইয়ে শত শত বিক্ষোভকারীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এখানে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটক করে বাসভর্তি করে নিয়ে গেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, এ সময় সাংহাইয়ে পুলিশ বিবিসির একজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার পর আটক করে, বেশ কয়েক ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেয়। সাংহাইয়ের বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল উলুমুকি মিডল রোডে সোমবার পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে, তারা এখানে রাস্তায় নীল রঙের দীর্ঘ ব্যারিকেডও বসিয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। এ দিন এখান থেকে পুলিশ অন্তত দু’জনকে আটক করেছে।
রোববার মধ্যরাত পার হওয়ার পর বেইজিংয়ে তৃতীয় রিং রোডে বড় ধরনের একটি জমায়েত হয়, তবে তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করে। সোমবারের প্রথম কয়েক ঘণ্টায় এদের একটি দল কাগজের সাদা পৃষ্ঠা হাতে ‘আমরা কোভিড পরীক্ষা চাই না, আমরা স্বাধীনতা চাই’ স্লোগান দেয়। চীনের সাম্প্রতিক বিক্ষোভের প্রতীক হয়ে উঠেছে কাগজের সাদা পৃষ্ঠা। বিক্ষোভরতদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িগুলোর চালকরা হর্ন বাজিয়ে ও বুড়ো আঙুল তুলে তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছিল, বিক্ষোভকারীরা ব্যাপক হর্ষধ্বনি করে তাদের স্বাগত জানাচ্ছিল।


উর্দি পরা কয়েক ডজন পুলিশ কর্মকর্তা তাদের অনুসরণ করছিল আর পুলিশের গাড়িগুলো পাশাপাশি এগিয়ে যাচ্ছিল। সাদা পোশাকের নিরাপত্তা সদস্যরা বিক্ষোভরত জনতার সাথে মিশে ছিল বলে রয়টার্স জানিয়েছে। চীনের সরকার এসব বিক্ষোভের কথা স্বীকার করেনি এবং দাফতরিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়াও জানায়নি। ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা সত্ত্বেও চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব বিক্ষোভের খবর দ্রুত দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
সরকারবিরোধী বিরল এ বিক্ষোভে চীনের জিরো-কোভিড নীতি ব্যবস্থাপনা নিয়ে উদ্বেগে দেখা দিয়েছে। এর জেরে সোমবার স্টক এক্সচেঞ্জে দরপতন হয়েছে এবং তেলের দাম কমে গেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতিতে এর প্রভাবও পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে চীনের কর্তৃপক্ষ অনলাইন থেকে বিক্ষোভ সম্পর্কিত ছবি ও পোস্ট সরানো শুরু করেছে। এক দশক আগে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে চীনে এ ধরনের বিক্ষোভ নজিরবিহীন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে কিশোরীর মৃত্যু জামালপুরে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অটোরিকশা চুরির মামলা কেএনএফ সদস্যদের আদালতে উপস্থাপন, ৫২ জনের রিমান্ড মঞ্জুর ৬ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ, মর্টার শেলের শব্দে প্রকম্পিত সীমান্ত এলাকা হামলার ব্যাপারে ইসরাইল নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে : নেতানিয়াহু ইরানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে পাশ্চাত্যের দেশগুলো সিদ্ধিরগঞ্জে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নগদ টাকাসহ ৮০ লাখ টাকার মালামাল লুট প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হওয়ায় গাজায় মানবিক প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ : রাশিয়া

সকল