২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দ্রুত নতুন কমিটি চায় শ্রমিকদলের তৃণমূল

-

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপির চলমান আন্দোলনকে আরো বেগবান ও শক্তিশালী করতে দ্রুত জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের নতুন কমিটি চায় সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

শ্রমিকদলের তৃণমূল কর্মীরা মনে করেন, দেশের রাজনীতিতে এখন সার্বিকভাবে চলছে ক্রান্তিÍকাল। এ অবস্থায় বিএনপির রাজনীতিতে শ্রমিকদলের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আর সে জন্য শ্রমিকদলকে করতে হবে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল। মূলত এসব দিক সামনে রেখেই দ্রুত এ উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার বলে মনে করছেন শ্রমিকদলের নেতাকর্মীরা। নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিল না হওয়ায় সংগঠনের পদপ্রত্যাশী ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ এবং হতাশ।

২০১৯ সালের শুরুর দিকে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল পুনর্গঠন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। সে বছরের সেপ্টেম্বরেই শ্রমিকদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এর মাঝে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও কৃষকদলের নতুন কমিটি ঘোষণা হলেও করোনা মহামারীসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বিএনপির এই সহযোগী সংগঠনটি নতুন নেতৃত্ব পায়নি। তারপরও শ্রমিকদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, শ্রমিকদলকে গতিশীল করার লক্ষ্যে খুব দ্রুতই একটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা করে একটি সফল কাউন্সিল সম্পন্ন করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৯-২০ এপ্রিলে সপ্তম কাউন্সিলে আনোয়ার হোসাইনকে সভাপতি ও নুরুল ইসলাম খান নাসিমকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির নাম শ্রম অধিদফতরে জমা দেয়া হয়। এই কমিটি চ্যালেঞ্জ করে নাজিম উদ্দিনকে সভাপতি ও আবুল খায়ের খাজাকে সাধারণ সম্পাদক করে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে পাল্টা একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এই কমিটি ঘোষণার পরপরই সভাপতি নাজিম উদ্দিনসহ তাৎক্ষণিকভাবে কমিটির ১১ জন কর্মকর্তা এই কমিটির সাথে কোনো সম্পর্কে নেই বলে ঘোষণা দিলে আবুল হোসেনকে সভাপতি ও আবুল খায়ের খাজাকে সাধারণ সম্পাদক করে শ্রম অধিদফতরে কমিটি জমা দেয়া হয়। কমিটির অনুমোদন লাভের আশায় আবুল খায়ের খাজা বর্তমান সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিমের কমিটি চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেন। পরে তাদের মধ্যে সমঝোতা হয়। এরপর শ্রমিকদলের দুই বছর মেয়াদি কমিটি চলছে ৯ বছর ধরে।

শ্রমিকদলের কাউন্সিল সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন নয়া দিগন্তকে বলেন, আমাদের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল ২০১৭ সালে। তখন ম্যাডাম (বেগম খালেদা জিয়া) বলেছিলেন দেখতেছি। তারপর উনি তো জেলে চলে গেলেন। এরপর আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কয়েকবার সম্মেলনের বিষয়ে আমরা বলেছি। উনি বলেছেন বিষয়টি দেখছেন; কিন্তু এখন পর্যন্ত আর সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি।

বিএনপির সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান নয়া দিগন্তকে বলেন, শ্রমিকদলের কাউন্সিলের দায়িত্ব সর্বসম্মতভাবে বিএনপির ভারপাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে। উনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন তা সবাই সর্বসম্মতভাবে মেনে নেবেন। তিনি এ বিষয় বিবেচনা করছেন। ইতোমধ্যে বেশকিছু জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগির শ্রমিকদল নতুন একটি কেন্দ্রীয় কমিটি পাবে।

শ্রমিকদলের নতুন কমিটি হলে শীর্ষ নেতৃত্বের জন্য আলোচনায় আছেন, বিএনপির সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, বর্তমান সভাপতি আনোয়ার হোসেন, শ্রমিকদলের উপদেষ্টা আবুল খায়ের খাজা, প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, ঢাকা মহানগর শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি কাজী আমির খসরু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি খন্দকার জুলফিকর মতিন, শ্রমিকদলের সহ-সাধারন সম্পাদক মিয়া মিজান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাদল প্রমুখ।

তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অপেক্ষাকৃত কম বয়সী ও সাবেক ছাত্রনেতাদের দিয়ে নতুন কমিটি প্রত্যাশা করেন শ্রমিকদলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। অপেক্ষাকৃত তরুণ ও সাবেক ছাত্রনেতাদের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি করা হলে বিএনপির অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মতো সংগঠনটি শক্তিশালী ও গতিশীল হবে বলে মনে করেন সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।


আরো সংবাদ



premium cement
দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনা, সম্পাদক রনি তীব্র গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত তেঁতুলিয়া নদীর তীরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার নওগাঁ সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত বান্দরবানে কেএনএফের তৎপরতার প্রতিবাদে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী

সকল