ফাস্টফুড নিষিদ্ধ
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০৫
ফাস্টফুড খেতে কে না ভালোবাসেন। মাছে-ভাতে বাঙালি তকমা থাকলেও আমাদের খাদ্যাভ্যাসে ঢুকে গেছে বিভিন্ন দেশের খাবার। রেস্তোরাঁর মেন্যুতে এখন আর ভাত-মাছ পাওয়া যায় না। থাকে চাইনিজ, আমেরিকান কিংবা মেক্সিকান খাবার। নিজের পছন্দ মতো বার্গার পিৎজা না হলে সপ্তাহটাও ভালো কাটে না অনেকের। তবে জানেন কি- বিশ্বের এমন একটি দেশ আছে যেখানে এসব ফাস্টফুড নিষিদ্ধ? তাও মুখে মুখে নয়, একেবারে আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এসব খাবার। রাস্তার ধারে কোথাও পাবেন না পিৎজা, বার্গারের দোকান। ম্যাকডোনাল্ডস, পিৎজাহাট, স্টারবার্ক বা বার্গার কিং-এর মতো ভুবন বিখ্যাত ফুড চেইনগুলোর খাবারের স্বাদ কেমন তা জানেন না সে দেশের বাসিন্দারা। ভাবতে পারেন কোনো অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশের কথা বলছি হয়তো। একেবারেই না, এই দেশটি বিশ্বের অন্যতন উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি- বারমুডা। পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে এর অবস্থান। সমুদ্রের বুকে সরু একফালি এই দেশেই ফাস্টফুড বন্ধ করেছে সরকার। প্রায় বছর ৫০ আগে এই নিয়ে আইন পাস করে সেখানকার সরকার। ফলে পৃথিবী বিখ্যাত ফুড চেইনগুলোকে চেনেন না এই দেশের বাসিন্দারা।
একেবারে ঝকঝকে এই দেশে বছরে হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে যান। কিন্তু স্বাদ নিতে পারেন না বিশ্ব বিখ্যাত ফাস্টফুড খাবারের। এখানে গেলে আপনাকে খেতে হবে সেখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোই। তবে এক সময় এখানে ম্যাকডোনাল্ডসসহ বিশ্বের বিখ্যাত ফুড চেইনগুলো ছিল। ১৯৭০ সালে বারমুডা সরকার এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে দেশে নিষিদ্ধ করে। ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয় ফুড চেইনগুলো। এর পেছনে বারমুডার সরকার একাধিক যুক্তি দিয়েছে। এর প্রথম কারণ হচ্ছে বিদেশী ফুড চেইনগুলো ব্যবসা শুরু করলে স্থানীয় বিক্রেতাদের অবস্থা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা। এ ছাড়া একবার পিৎজা-বার্গার বিক্রি শুরু হলে ধীরে ধীরে অবলুপ্ত হয়ে যাবে দেশীয় খাবার। স্থানীয় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় খাবারের সাথে দেশের ঐতিহ্য বা সংস্কৃতি জড়িয়ে রয়েছে বলে বিশ্বাস করে সে দেশের সরকার। এজন্যই মূলত বারমুডা থেকে বিদেশী ফুড চেইন ও ফাস্টফুডের দোকান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইন্টারনেট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা