২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

৩০০ কোটি টাকার প্রস্তাব এখন ১২৩২ কোটিতে

সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ ভেটখালী মহাসড়ক; ২০২০ সাল থেকে চলছে প্রকল্পের চিঠি চালাচালি
-

অনুমোদন হওয়ার আগেই প্রকল্পের খরচ চারগুণ বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে খরচের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন উঠায় ২ বছর আগে সড়কের একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশন থেকে ফেরত পাঠায়। এখন সাতক্ষীরা থেকে সখিপুর হয়ে কালিগঞ্জ এবং কালিগঞ্জ থেকে শ্যামনগর হয়ে ভেটখালী পর্যন্ত মহাসড়কটির উন্নয়ন খরচ ১২৩২ কোটি ১৩ লাখ টাকার উল্লেখ করে নতুন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যার প্রথম প্রস্তাব ছিল ৩১১ কোটি টাকার। ২ হেক্টর জমির ক্ষতিপূরণসহ অধিগ্রহণের ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। অবশ্য প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের প্রাক্কলন নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাব থেকে জানা গেছে, সাতক্ষীরা থেকে সখিপুর হয়ে কালিগঞ্জ এবং কালিগঞ্জ থেকে শ্যামনগর হয়ে ভেটখালী পর্যন্ত মহাসড়ক দুটি সাতক্ষীরা সড়ক বিভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সাতক্ষীরা জেলার সাথে পর্যটনকেন্দ্র সুন্দরবন এবং দেবহাটা, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলায় যাতায়াতের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পুনর্বাসনের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন এবং নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এই সড়ক সংস্কারের প্রস্তাব। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে এটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত ২০২০ সাল থেকে এই প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশন আর সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যাতায়াতই করছে। অনুমোদনের মুখ দেখছে না। সেই সময় ৩১১ কোটি টাকার ব্যয় প্রস্তাব করা হয়। সড়ক দুটির দৈর্ঘ্য হলো ৬২.৩২৫ কিলোমিটার। আর প্রস্থ সাড়ে ৫ মিটার।
ভৌত অবকাঠামো বিভাগ বলছে, সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প, প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন এবং সংশোধন সংক্রান্ত পরিপত্রের ১.১৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) পরবর্তী পুনর্গঠিত ডিপিপি সর্বোচ্চ ৩৫ কার্যদিবসের মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণে বিধান রয়েছে। কিন্তু এই প্রকল্পটি প্রায় এক বছর আট মাস পর পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া প্রকল্পের খরচ পিইসি সভায় উপস্থাপিত ডিপিপির তুলনায় ৯২১ কোটি ১০ লাখ ৩১ হাজার টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত খরচের হিসাব থেকে জানা গেছে, ২.০৪ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ খরচ ২২৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, মাটির কাজ ৯.৫৪৭১ লাখ ঘনমিটারে মোট ৩৫ কোটি টাকা, বিদ্যমান দুই লেন সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণে ব্যয় ৫৮ কোটি টাকা, বিদ্যমান সড়ক সাড়ে ৫ মিটার থেকে ১০.৩০ মিটার প্রশস্তকরণে ব্যয় ৩৪৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ৪.৯ কিলোমিটার পেভমেন্ট নির্মাণে ৫০ কোটি ৮ লাখ টাকা। আড়াই কিলোমিটার ফুটপাথ তৈরিতে ব্যয় ১০ কোটি ৬২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। ৪.২৭ কিলোমিটার রোড ডিভাইডার করতে ১৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ৫টি ইন্টারসেকশন নির্মাণে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। আটটি বাস-বে নির্মাণে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। চার লেনের ৩০ মিটার কালভার্ট পুনর্নির্মাণ ১২ কোটি টাকা। আর ২ লেনের ৯৯টি কালভার্ট মোট ৮৬৭ মিটার নির্মাণে খরচ ১৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
ভৌত অবকাঠামো বিভাগ বলছে, ২.০৪ জমি অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিপূরণে যাবে ৬৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আর স্থাপনা সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণে যাবে ১৫২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সড়ক প্রশস্তকরণে জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন না হলেও দুটি ইন্টারসেকশনের জন্য এই খরচ। ইন্টারসেকশনের বিদ্যমান অবস্থা এবং ইন্টারসেকশনের স্পষ্ট ড্রোন ভিউ পাওয়ার পয়েন্ট সøাইডে দেখাতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement