২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ঢাবিতে নিরপরাধ শিক্ষার্থীকে থানায় দিলেন হল প্রাধ্যক্ষ ছেড়ে দিলো পুলিশ

-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে বিভাগের মেসেঞ্জার গ্রুপে একটি মেসেজকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয়বর্ষের একজন শিক্ষার্থীকে থানায় দিয়েছেন ওই হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো: বিল্লাল হোসেন। প্রভোস্টের অভিযোগ, তার জামায়াত শিবির ও জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। তবে তদন্তের পরে ওই শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দিয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে হলের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী মিফতাহুল মারুফকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেন প্রভোস্ট। এরপর রাতে ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত থানা পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় একটি মুচলেকা নিয়ে ওই ছাত্রকে ছেড়ে দেয়।
জানা যায়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৪তম ব্যাচের অফিশিয়াল নোটিশ গ্রুপে (মেসেঞ্জার) তার একটি মন্তব্য লিখে মেসেজ দেন। মারুফ সেখানে লেখেন, ‘সিরিজ বোমা হামলা চালাইছে (চালিয়েছে) জামায়াতুল মুজাহিদিন নামে একটা জঙ্গি সংগঠন, বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে। সেই সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত। এই ক্ষমতায় থাকার জন্য যদি দায়ী তারা হয় তাহলে ২০০৮ বর্তমানে গুলশানসহ সব জঙ্গি হামলার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ।’
মারুফের সেই মেসেজের স্ক্রিনশট নিয়ে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হোসেন শান্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর মোবাইল ফোন চেক করে হল প্রভোস্টের হাতে তুলে দেন তিনি। আর এই মেসেজের ভিত্তিতেই প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয় মারুফকে।
ওই ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, মাঝে মধ্যেই মেসেঞ্জার গ্রুপে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা, ডিবেট এসব হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা এগুলোর চর্চা করার চেষ্টা করি। কিন্তু মারুফের ওই বক্তব্যের মধ্যে সন্দেহজনক কী থাকতে পারে সেটা কোনোভাবেই বোধগম্য নয়।
শুক্রবার দুপুরে শাহবাগ থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, তার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তার এলাকায় খোঁজ নিয়েছি। তার পরিবারের বড় দুই রাজনৈতিক দলের সাথেই সংশ্লিষ্টতা আছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে তার কোনো দলের সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই। সে যে মন্তব্য করেছে এটা সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত মতামত। তাই আমরা তদন্তের পরে তাকে একটি মুচলেকা দেয়ার মাধ্যমে শিক্ষকদের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, এটা হল প্রশাসনের বিষয়। প্রাধ্যক্ষ সাহেব আছেন। এ বিষয়ে তার সাথে কথা বলেন।
কোনো প্রমাণ ছাড়াই কেন এভাবে হেনস্তা করা হলো এমন প্রশ্ন করা হলে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো: বিল্লাল হোসেন বলেন, আমাদের জায়গা থেকে যতটুকু তদন্ত করা সম্ভব আমরা সেটা করেছি। এরপর পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। বাকি কাজ তারা করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
সিরাজগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নৈশ প্রহরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ৬ দাবিতে উত্তাল বুয়েট, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন মোরেলগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু আল-আকসায় কোনো ধরণের সহিংসতা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় জুমআর জামাত ‘পেশাগত স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবব্ধ হতে হবে’ গাজাবাসীর প্রধান কথা- ‘আমাদের খাবার চাই’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১

সকল