২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
নেত্রকোনায় শোকের অনুষ্ঠান

যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১১

-

নেত্রকোনায় শোকের অনুষ্ঠানে গণভোজকে কেন্দ্র করে চল্লিশা ইউনিয়নের যুবলীগ-ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত চারজনকে নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চল্লিশা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল জলিল, সম্পাদক সাইফুর রহমান লালু ও যুগ্ম সম্পাদক যুবায়ের জনি ও জেলা ছাত্রলীগের সদস্য সুলতান মাহমুদ মিলন। আহত অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
গত সোমবার দুপুরে জেলার সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাগরা গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক মহিষের গোশত দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ, আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চল্লিশা ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ১৫ আগস্ট শোক উপলক্ষে ওয়ার্ড পর্যায়ে গণভোজের জন্য একটি মহিষ জবাই করে ৯টি ওয়ার্ডে ভাগ করে দেন। আর এই গোশত প্রতি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদকরা নিয়ে যান। সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর শুরু হয় রান্না। এ সময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জি এম খান পাঠান বিমলের সাথে ইউনিয়ন যুবলীগ-ছাত্রলীগের ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে বাগরা যান। সেখানে বর্তমান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান খান মানিকের ভাতিজা জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মিলনের সাথে বাগি¦তণ্ডার এক পর্যায়ে মিলন নামে এক কর্মী আহত হয়। পরে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১১ আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর চারজনকে নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। তার মধ্যে তিনজন জি এম খান পাঠান বিমলের অনুসারী। সংঘর্ষে গণভোজের জন্য প্রস্তুত রাখা চেয়ার এবং থালা বাসন ভাঙচুর হয়।
চল্লিশা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানান, সকালে যুবলীগের সভাপতি জলিল কয়েকজনকে সাথে নিয়ে বাগরা বজারে যান। সেখানে পৃথকভাবে দু’টি দোয়া মাহফিল হচ্ছিল।
আহত জেলা ছাত্রলীগের সদস্য সুলতান মাহমুদ মিলন জানান, সকাল থেকে ভালোভাবেই প্রোগ্রাম চলছিল। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতন গোশত এনেছেন। তারা রান্না করছে আমি বসে আছি। এর মধ্যে আমাকে পৈছন থেকে এসে থুতনিতে ধরে হুমকি ধমকি দিয়ে চশমা ভেঙে মারধর শুরু করে। তারা গাতি ইউনিয়ন থেকে এখানে ২০ থেকে ২৫টি হোন্ডা নিয়ে এসে মহড়া দেয়া শুরু করে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতন জানান, চেয়ারম্যান গোশত দিয়েছে আমাকে। আমার নামে তালিকা রয়েছে। সুলতান মাহমুদ মিলন আমার সাথে ছিল। সে বসে রান্না দেখছে। এমন অবস্থায় তারা এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করে মিলন কোথায়।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি জানান, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে দ্রুত আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement