১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বঙ্গবন্ধু হত্যার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী জিয়া ও তার পরিবার : তথ্যমন্ত্রী

জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ : বাসস -

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার। এটি সত্য, এটিই বাস্তবতা। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রসিডিং যদি কেউ পড়েন, সেখানে সাক্ষীদের ও আসামিদের জবানবন্দী থেকে জানতে পারবেন কে কিভাবে এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত ছিল। বিশেষ করে জিয়াউর রহমান কিভাবে এই ষড়যন্ত্রের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর খন্দকার মোশতাক জিয়াউর রহমানকে বেছে নিয়েছিলেন প্রধান সেনাপতি করার জন্য। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর হত্যাকারীদের পালানোর সুযোগ করে দেয় এবং পরে তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে রাষ্ট্রদূতের চাকরি দিয়ে পুনর্বাসন করে।
গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তাদের আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক প্রধান তথ্য অফিসার গোলাম রহমান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, সাইফুল আলম, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল আলম স্বাগত বক্তব্য দেন ও কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী আলোচনায় অংশ নেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বেগম খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেছেন। এমনকি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীকে তিনি বিরোধীদলীয় নেতার আসনেও বসিয়েছেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের মূল কুশীলব, পরিকল্পনাকারী ছিল, তাদের ব্যাপারে জাতিকে অবহিত করার জন্য জাতীয় প্রেস ক্লাব আনুষ্ঠানিকভাবে গত বছর একটি কমিশন গঠন করার দাবি দেয়। বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকেও এই দাবি উঠেছে, আমাদের দলের পক্ষ থেকেও এই দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে এটির সাথে একমত, একাত্মতা পোষণ করি। সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। আইনমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন একটি কমিশন গঠন করা হবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হবে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু তার সাথে বিশ্ব প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হলেই আমি মনে করি সংবাদ ঠিক হয়, জনগণ ঠিক চিত্রটি পায়। শুধু বাংলাদেশের কথাটা বললাম, পাশের দেশে, ইউরোপ-আমেরিকায় কী হচ্ছে, এটি বললাম না, তাহলে তো জনগণ বিভ্রান্ত হবে। এ সময় বিভিন্ন দেশের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি অস্ট্রেলিয়াতে ৯.২%, আরব আমিরাতে ৯.৬%, তুরস্কে ৭৯.৬%, যুক্তরাষ্ট্রে ৮.৫%, যুক্তরাজ্যে ৯.৪%, পাকিস্তানে ২৪.৯%, নেপালে ৮.৫৬%, ভারতে ৬.৭৫% থেকে ৭% এর মধ্যে ওঠানামা, আমাদের দেশে মে মাস পর্যন্ত ৭%-এর নিচে ছিল, পরে একটু বেড়ে ৭.৫% হয়েছে। অর্থাৎ অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি কম। তাই বলে আমরা এটিকে স্বস্তিদায়ক বলছি না, আরো কমিয়ে আনতে চেষ্টা করছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement