১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
গণস্বাস্থ্যের ঈদসামগ্রী বিতরণ উদ্বোধন

যত কালাকানুন আছে তুলে নিতে হবে : ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী

-

ঘন ঘন লোডশেডিং প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের বিভিন্ন অনিয়মের কথা উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকার এত দিন বলে আসছে বিদ্যুতে আমাদের সারপ্লাস! এখন বলছে সাশ্রয় করতে হবে। দুর্নীতি করলে যা হয় আর কি! এ সময় গণমাধ্যমের জন্য যত কালাকানুন আছে সবগুলো প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ১০ হাজার দরিদ্র পরিবারকে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্যোগে অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহকারী মহাসচিব শফিউল আলম দোলন প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের নির্বাহী কর্মকর্তা ডা: মনজুর কাদির আহমেদ, অধ্যাপক শওকত আরমান, মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা শাওনাজ পারভিন প্রমুখ। এরপর গতকাল দুপুর থেকে ঢাকার ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্যের সামনে, কদমতলী, হাতিরপুল, পুরানা পল্টন, উত্তর বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় দুই হাজার পরিবারের মধ্যে ঈদ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা ভালো কাজের সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে আজকে পদ্মা সেতুর জন্য সাধারণ মানুষের হাসি কান্নায় পরিণত হয়েছে। আজকে চারদিকে অভাব অনটন, কান্না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গে বলেন, পদ্মা সেতুতে সেলফি তুলে আইন ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় পদ্মা সেতুতে গিয়ে সেলফি তোলে। এর আগে ঘোষণা হয়েছে পদ্মা সেতুতে কোনো সেলফি তোলা যাবে না। তার মানে আইন তার জন্য না।
সাংবাদিকদের সঙ্কটকালে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র পাশে থাকবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসাসেবাও দেবে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র। তিনি বলেন, সামনে কোরবানি ঈদ উপলক্ষে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতি পরিবারকে চার কেজি চাল, এক কেজি মুরগির গোশত, আধা লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি আটা ও আলু, লবণ, মরিচের গুঁড়া, মসলাসহ একটি প্যাকেজ খাদ্য উপহার দিয়েছে।
শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোনো চিকিৎসা সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আনতে ৫১ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয়। অথচ বড় বড় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাত্র এক পারসেন্ট ট্যাক্স দিতে হয়। যদিও গণস্বাস্থ্য স্বাধীনতার পর থেকে দেশের অসহায় মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কম খরচে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে আসছে। যেকোনো দুর্যোগে বিনামূল্যে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা করে থাকে।
উল্লেখ্য, এর আগে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের পক্ষ থেকে সিলেটে ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপকভাবে ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। ১৭ জুন থেকে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ ও সিলেটের প্রায় ২০ হাজার পরিবারকে ১০০ টন চিঁড়া, গুড় ও ২ লিটারের পাঁচ হাজার বোতল খাবার পানি, ১৫ টন গোখাদ্য বিতরণ করা হয়। এ ছাড়াও সুনামগঞ্জ ও সিলেটে ১০টি মেডিক্যাল ক্যাম্পে প্রায় দুই হাজার জনকে ফ্রি চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়।


আরো সংবাদ



premium cement