১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পদ্মা সেতুর আদলে হবে চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেল সেতু

-

অবশেষে ২০০১ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা শতবর্ষী কালুরঘাট সেতুটি নির্মাণে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। পদ্মা সেতুর আদলে হবে চট্টগ্রামের কাক্সিক্ষত কালুরঘাট রেল সেতু। পদ্মা সেতুর মতো দ্বিতল ডিজাইনে কালুরঘাট সেতুর ওপরে দুই লেনের সড়ক ও নিচে ট্রেন চলাচল উপযোগী করে নকশা প্রণয়নের কাজ চলছে। রেল সেতুতে ব্রড ও মিটার গেজ ট্রেন চলাচল উপযোগী রেল লাইন বসানো হবে।
বুধবার দুপুরে পূর্বাঞ্চলীয় রেলের সদর দফতরের (সিআরবি) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সেতুর প্রাথমিক সমীক্ষা শেষে সেতু নির্মাণের স্থান, নকশা, ব্যয় ও নির্মাণকাল নিয়ে প্রাথমিক প্রস্তাবনা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেছে দাতা সংস্থা কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক।
সভায় জানানো হয়, নতুন ডিজাইনে সেতুটি নির্মাণের জন্য আগের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ব্যয় করতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই কালুরঘাট সড়ক কাম রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে পারে।
বৈঠক শেষে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কালুরঘাট সেতু নিয়ে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ফিজিবিলিটি স্টাডি করছে। আমাদের জানানো হয়েছে, ব্রিজের ওপরের ডেকে থাকবে সড়ক, নিচের ডেকে থাকবে রেললাইন। উভয়ই ডাবল লাইন হবে। রেল ডাবল লাইন হবে, সড়কও ডাবল লাইন। পদ্মা সেতুর আদলে আগামী বছরের শুরুতে এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। সেতুটির ৭৮০ মিটারের ওপরে চলবে গাড়ি আর নিচে ট্রেন। দু’টিই হবে ডাবল লাইনের। ফলে ট্রেন-গাড়ি একই সময়ে যেতেও পারবে, আসতেও পারবে। প্রাথমিকভাবে ব্রিজের দৈর্ঘ্য আমাদের বলা হয়েছে ৭৮০ মিটার, বায়াডাক্ট ৫ দশমিক ৬২ মিটার। স্প্যান হবে ১০০ মিটার। ব্রিজের উচ্চতা হবে ১২ দশমিক ২ মিটার।’ তিনি আরো বলেন, ‘আগামী মাসে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ফাইনাল ফিজিবিলিটি স্টাডি রিপোর্ট জমা দেবে। এরপর টেন্ডার হবে। আমাদের টেন্ডার শেষ করতে প্রায় ছয় থেকে আট মাস সময় লাগবে। তারপর ইডিসিএফ ফান্ড দেবে। ফান্ড দিলে কাজ শুরু হবে। টেন্ডারের পর সেতুটি নির্মাণের প্রায় চার বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমাদের খরচ ছয় হাজার ৩৪১ কোটি টাকার মতো বলা হয়েছে।’
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সেতু নির্মাণের সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছে কাজ শুরুর সময় থেকে চার বছর। আর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একনেকে অনুমোদন, দরপত্রসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে তারা সেতুর কাজ শুরু করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে সেতুটি নির্মাণ শেষ হতে বর্তমান সময় থেকে পাঁচ বছর অর্থাৎ ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও প্রকল্প পরিচালক গোলাম মোস্তফা, ইউশিন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার কোণ উক পার্ক, কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতুর প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: গোলাম মোস্তফা, ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো: আনোয়ারুল হক, ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো: রিয়াজুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

 


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল