২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি ঘোষণার গেজেট প্রকাশ চেয়ে রিট

-

কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। গতকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন তারা। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে বলে রিটকারী আইনজীবী মো: আসাদ উদ্দিন জানান।
আসাদ উদ্দিন ছাড়া রিটকারী অন্য আইনজীবীরা হলেন- মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মো: জোবায়দুর রহমান, আল রেজা মো: আমির, মো: রেজাউল ইসলাম, কে এম মামুনুর রশিদ, মো: আশরাফুল ইসলাম, শাহীনুর রহমান, মো: রেজাউল করিম ও মো: আলাউদ্দিন।
আইনজীবী মো: আসাদ উদ্দিন বলেন, দেশের আপামর জনগণ জানে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম; কিন্তু বাস্তবে এটির কোনো দালিলিক ভিত্তি নেই। মৌখিকভাবে তিনি জাতীয় কবি হিসেবে পরিচিত হলেও লিখিতভাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। বলা হয়ে থাকে, ১৯২৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতার আলবার্ট হলে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সর্বভারতীয় বাঙালিদের পক্ষ থেকে কবিকে জাতীয় সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কবি নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে মুখে মুখে তিনি জাতীয় কবি হয়ে আছেন; কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে কোনো প্রজ্ঞাপন বা গেজেট প্রকাশ করা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে কবিকে বাংলাদেশে আনা হয়। বসবাসের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ধানমন্ডিতে তাকে একটি বাড়ি দেয়া হয়। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত করা হয়। এরপর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে সরকারি আদেশ জারি করা হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তাকে ‘একুশে পদক’ দেয়া হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং কবির মৃত্যুর ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির বিষয়ে কোনো যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। যদিও ইতঃপূর্বে নজরুল ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে দুই-একবার চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেটি কোনো আলোর মুখ দেখেনি। তাই দেশের সচেতন নাগরিক এবং উচ্চ আদালতের আইনজীবী হিসেবে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মো: আসাদ উদ্দিন।
রিট আবেদনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালককে বিবাদি করা হয়েছে। রিট করার আগে এই ১০ আইনজীবী আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement