২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বন্ধ ব্রোকারেজ হাউজ থেকে বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

-

ভুয়া সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বন্ধ ফার্স্ট লিড সিকিউরিটিজ নামে একটি ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালের মার্চ থেকে কার্যক্রম সাসপেন্ড (বন্ধ) করা হলেও চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সদস্য এ প্রতিষ্ঠানটি ব্রোকারেজ খোলা রেখে ভুয়া লেনদেন চালিয়ে গেছে বলে দাবি বিনিয়োগকারীদের। গতকাল মঙ্গলবার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিনিয়োগকারীদের একটি প্রতিনিধিদল। তবে আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফার্স্ট লিড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জুনু চৌধুরী।
বিনিয়োগকারীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মোহম্মদ আইয়ুব খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ফার্স্ট লিড সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঢাকা অফিসে আমাদের ৩০ জন বিনিয়োগকারীর সব শেয়ার বিক্রি করে প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। শেয়ার বিক্রি সংক্রান্ত কোনো এসএসএস এবং মেইল ফার্স্ট লিড সিকিউরিটিজ থেকে আমরা কখনো পেতাম না।
‘বিষয়টি তাদের জানানো হলে তারা সব ঠিক হয়ে যাবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। বাধ্য হয়ে আমরা অন্য হাউজে বিও হিসাব খুলে শেয়ার হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু সেটাও সম্ভব হয়নি। পরে জানতে পেরেছি ২০২১ সালের মার্চ থেকে ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজের লেনদেন বন্ধ করে রেখেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)’
তিনি বলেন, হাউজ বন্ধ থাকলেও ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে শেয়ার লেনদেন করা হতো। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি আমরা সিএসইর সিআরও বরাবর শেয়ার হস্তান্তরের আবেদন করি। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ আমাদের কোনো শেয়ার হস্তান্তর করেনি। এরপর আমরা বিএসইসির চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করলেও কমিশন থেকে কোনো সদুত্তর পাইনি। তবে সিডিবিএল থেকে জানানো হয় আমাদের হিসাবে কোনো শেয়ার নেই।
তিনি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানটি আমাদের শেয়ার বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করায় আমরা পথে বসে গেছি। আমরা খুব আর্থিক কষ্টে আছি। এখন আমাদের টাকা/শেয়ার যত দ্রুত সম্ভব ফেরত পেতে পারি প্রধানমন্ত্রী এবং বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে দাবি জানাই।
এ বিনিয়োগকারী জানান, ফার্স্ট লিড সিকিউরিটিজের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে তার ৫৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ ছিল। এর মধ্যে ৫০ লাখ টাকার শেয়ার কেনা ছিল এবং ৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকা আইপিও আবেদনের জন্য জমা রাখা হয়ে ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ আলী চোকদার, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কৃষ্ণ রায়, কামরুজ্জামান, সাইফুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ আইনুর।
বিনিয়োগকারীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে ফার্স্ট লিড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুনু চৌধুরী বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সঠিক নয়। আমাদের হাউজ সাসপেন্ড রয়েছে। আর সাসপেন্ড হাউজ থেকে শেয়ার বিক্রি করা সম্ভব না।
হাউজে আটকে থাকা বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেয়ার ক্ষেত্রে কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের সাসপেন্ড তুলে নেয়া হলে, আমরা বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নেবো। বিনিয়োগকারীদের কত টাকা আটকে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটার হিসাব আমার কাছে নেই।


আরো সংবাদ



premium cement