২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পদ্মার ঘূর্ণিপাক স্রোতে ভাঙছে ঘাট, ঝুঁকিতে বসতবাড়ি

-

দৌলতদিয়ার ৭নং ফেরিঘাট এলাকায় ফেরি ভিড়ার পানির ধাক্কায় ও প্রপেলারের পাখার ঘূর্ণিপাকে নদীর পাড় ধসে যাচ্ছে। ফলে ভাঙছে ফেরি ঘাট। এ ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ওই ফেরিঘাটসহ সংলগ্ন এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবারের বসতবাড়ি। তারা দ্রুত এ বিষয়ে প্রতিকারের দাবি জানিয়েছেন ঘাট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
সরেজমিন পরিদর্শন করলে দেখা যায়, পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডুবে থাকা ৭নং ঘাটের পন্টুন মেরামতের কাজ চলছে। বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরা পন্টুনটি নিচু স্তর থেকে মাঝের স্তরে তোলার কাজ করছেন। এ সময় ঘাটের দুই পাশে অনেকটা এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা যায়। ভাঙনে গত বছর ফেলা জিও ব্যাগগুলো ধীরে ধীরে ধসে যাচ্ছে।
নদী পাড়ের বাসিন্দা মেজেক আলী শেখ (৫৫), হাচেন মণ্ডল (৫০), আতর আলী (৪৫), সাহেদা বেগম (৫৮), হাসনা খাতুনসহ (২০) অনেকেই বলেন, পদ্মা নদীতে গত কয়েক দিন ধরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ৭নং ঘাটের আপ ও ডাউন পকেটে আসা ফেরিগুলোর চলাচলের সময় প্রতিনিয়ত নদীর তীরে ধাক্কা লাগছে। সেইসাথে ফেরির পাখার ঘূর্ণনে সৃষ্ট তীব্র স্রোত সজোরে তীরে আঘাত হানছে। এতে নদীর তীর ঘেঁষে ফেলা বালু ভর্তি জিও ব্যাগগুলো ছিঁড়ে-ফেটে ধসে যাচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে আর কয়েক দিনের মধ্যে নদীর পাড় পুরোপুরি ভেঙে গিয়ে আমাদের বাড়িঘরগুলোও নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
এখন পানি কম রয়েছে। দেখে দেখে বস্তা ফেললে অল্প খরচেই তীর রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু তা না করে যখন অনেক পানি বাড়ে, বাড়িঘর ভেঙে যেতে শুরু করে তখন বস্তা ফেলতে আসে। গত কয়েক বছর ধরে এ সবই চলছে।
বিআইডব্লিউটিএর আরিচা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘাট পরিস্থিতি দেখতে আমি দৌলতদিয়া গিয়েছিলাম। ৭নং ঘাট এলাকাসহ যেখানে যেখানে জরুরি ভিত্তিতে বস্তা ফেলানো অথবা অন্যান্য কাজ করা দরকার সেগুলো করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি। এ ছাড়া ফেরি চালকদের ফেরির পাখা ধীরে ঘোরাতে অনুরোধ জানানো হবে।


আরো সংবাদ



premium cement