বিশ্বজয়ী রাশেদ হাসানের সফলতার গল্প
- মিজানুর রহমান মানিক কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)
- ২৪ মে ২০২২, ০১:৫০
রাশেদ হাসান চৌধুরী। অতি মেধাবী দীপ্ত। সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে একজন গবেষক। দেশের গণ্ডি থেকে এখন আন্তর্জাতিক মানে। একের পর এক সেরাটা দিয়েই রাশেদের গল্পের শুরু।
রাশেদের বাবা মাওলানা মো: আলী হোছাইন। স্থানীয় মাতাব্বরনগর আলিম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। বাবার ওই মাদরাসা থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা তার। সেখানকার কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল সেদিন স্বপ্নের বীজ হয়ে ওঠে তার। উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী হয়ে ওঠা রাশেদ চান্স পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্বপ্ন দেখছেন আকাশ ছোঁয়ার।
নিজ বিভাগে নিজ ফার্স্ট হওয়ার গৌরব ছিনিয়ে নেন তিনি। গ্রাম থেকে ওঠে আসা মাদরাসাপড়ুয়া রাশেদের দেশীয় সাফল্য স্বীকৃতিতে মেলে রাষ্ট্রপতি অ্যাওয়ার্ড। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কর্তৃক স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন এ গল্পের নায়ক রাশেদ হাসান।
এরপর তিনি স্কলারশিপ নিয়ে গবেষণার জন্য চান্স পেয়ে ভর্তি হন বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ তুরস্কের আঙ্কারা ইউনিভার্সিটিতে।
সেখানের সেরাটা নিয়ে গল্পটা তার দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া।
‘আলহামদুলিল্লাহ। এই ছোট্ট জীবনে আল্লাহ্থতার এই অধমকে এত বেশি সফলতা দিয়েছেন, যার কৃতজ্ঞতা প্রশংসা বা শোকরিয়া জানানোর কোনো ভাষা খুঁজে পাইনি। আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ ৪.০০ এর মধ্যে ৪.০০ এবং থিওলোজি ফ্যাকাল্টিতে রেকর্ডসংখ্যক মার্কস পেয়ে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের কাছ থেকে মোস্ট সাকসেসফুল স্টুডেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ পেয়ে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। গত বছর অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের কাছ থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছিলাম, তখন অসাধারণ অনুভূতি হয়েছিল। পাশাপাশি গত পরশু তার্কিশ প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে ১৭৭ দেশের মধ্য থেকে বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে যখন এই অ্যাওয়ার্ডটি পেয়েছিলাম, তখন অনুভূতি প্রকাশ করার মতো ছিল না। এরদোগানকে বাংলাদেশের সবার পক্ষ থেকে সালাম এবং মুবারকবাদ দিয়েছিলাম। শুকরিয়া মহান প্রভুর, শিক্ষকদের অসম্ভব আন্তরিকতা, সহপাঠীদের সহযোগিতা, পিতা-মাতা এবং ছোট ভাইবোনদের পাহাড় পরিমাণ আন্তরিকতা, সাহস ও দোয়া আমাকে এনে দিয়েছে এ সফলতা। পাশাপাশি স্মরণ করছি বড় ভাইয়া ও শুভাকাক্সক্ষীদের প্রতি, যারা আমাকে খুব বেশি সহযোগিতা ও দোয়া করেন। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবদিত হয়ে কাজ করতে পারি।’
একইসাথে রাশেদ তার এই অভূতপূর্ব অর্জন সূদর তুরস্ক থেকে তার আব্বু ও আম্মু দু’জনকে উৎসর্গ করেছেন।
অধ্যক্ষ মাওলানা আলী হোছাইন দম্পতির অপর দুই ছেলেও অদম্য মেধাবী দীপ্ত। একজন তারেক মাহমুদ। তিনি মিসরের আল-আজহার থেকে একটি কোর্স সম্পন্ন করে বর্তমানে মদিনা ইউনিভার্সিটিতে ইসলামিক আইন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন আর অপর ছোট ছেলে নাফিস মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা