কমছে বিদেশে কর্মী যাওয়ার হার
সৌদি রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা চান এজেন্সি মালিকরা- মনির হোসেন
- ২৩ মে ২০২২, ০০:৫৮
সৌদি আরব, আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুরসহ শ্রমবান্ধব দেশগুলোতে জনশক্তি প্রেরণ কমছে। চলতি বছরের মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে ১৭ হাজার শ্রমিক কম গেছেন। কোনো কোনো দেশে আবার একই সময়ের তুলনায় কর্মী বেশি গেছে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা গেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশে শ্রমিক গিয়েছে চার লাখ ২৬ হাজার ৫৫৮ জন। এর মধ্যে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৫৮৪ জন গিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবে। দুবাইয়ে গিয়েছে ৫১ হাজার ৫৩১ জন। কুয়েতে গেছে তিন হাজার ১৬৭ জন।
চার মাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সৌদি আরব, আমিরাত, কুয়েত, কাতার, জর্ডান, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, ওমানে জানুয়ারি মাসে গিয়েছে এক লাখ ৯ হাজার ৬৯৮ জন। ফেব্রুয়ারি মাসে সেটি কমে দাঁড়ায় ৯২ হাজার ৫৬৯ জনে। অর্থাৎ এ মাসে ১৭ হাজার ১২৯ জন। তবে মার্চ মাসে আবারো কর্মী যাওয়ার হার বেড়ে এক লাখ ২০ হাজারের বেশি হয়। বাড়ার এক মাসের ব্যবধানে আবারো শ্রমিক প্রেরণে টান পড়ে। এপ্রিল মাসে কর্মী যায় এক লাখ তিন হাজার ৯৭৫ জন। সেই হিসাবে প্রায় ১৭ হাজার শ্রমিক কম পাড়ি জমায় বিদেশে।
জনশক্তি ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশের শ্রমবাজারের বড় মার্কেট হচ্ছে সৌদি আরব। এরপরের অবস্থানে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, জর্ডান ও সিংগাপুর। গতকাল রোববার জনশক্তি প্রেরণের সাথে সম্পৃক্ত একজন ব্যবসায়ী নাম না প্রকাশ করার শর্তে নয়া দিগন্তকে জানান, মূলত সৌদি দূতাবাসের ভিসা সেকশন থেকে ভিসা কম ইস্যু হওয়ার কারনেই দেশটিতে লোক যাওয়ার হার কমছে। তিনি বলেন, বিদেশে শ্রমিক যাওয়া মানে সৌদি আরবকে বোঝায়। এই দেশেই সবচেয়ে বেশি কর্মী যাচ্ছে। এরপর রয়েছে দুবাই। এ ছাড়া যেসব মার্কেট রয়েছে সেগুলোতে যায় খুব সামান্যই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সৌদি দূতাবাসের ভিসা সেকশনে যদি কোনো ধরনের সমস্যা থেকে থাকে সেটি রাষ্ট্রদূত দেখভাল করলেই আমার কাছে মনে হয়, সৌদি আরবে যাওয়ার হার বাড়বে। এমনিতেই দেশটিতে নারী শ্রমিক যাওয়ার ক্ষেত্রে আগের চেয়ে অভিযোগ কমে এসেছে। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সৌদি সরকার নিয়োগকারীদের ওপর কঠোর আইন করায় নারী কর্মীদের কাছ থেকে এখন অভিযোগ কমই পাওয়া যাচ্ছে।
এ দিকে অভিবাসন বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু সৌদি, আমিরাত, ওমান ও সিঙ্গাপুরসহ নির্দিষ্ট দেশে শ্রমিক পাঠালেই হবে না। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার মালয়েশিয়ার বাজার না খুললে শ্রমিক পাঠানোর গতি আরো খারাপের দিকে যাবে।
এ নিয়ে বায়রা সিন্ডিকেটবিরোধী জোট নেতারা গোলটেবিল বৈঠক করে বলছেন, মালয়েশিয়ার বাজার সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। ২৫ লাইসেন্স মালিক সিন্ডিকেট করলে বিদেশগামীদের ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে। তাই সিন্ডিকেটমুক্ত পরিবেশে মালয়েশিয়ার বাজার উন্মুক্ত করার দাবি জানানো হয় তাদের পক্ষ থেকে। একই সাথে সিন্ডিকেটের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবির জানানো হয়।
শ্রমিক যাওয়ার হার কমে যাওয়ার কারণ ও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার কবে নাগাদ খুলতে পারে এমন প্রশ্নের জবাব জানতে দুই দিন আগে প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. আহমদ মুনিরুছ সালেহীনের সাথে যোগাযোগ করা হয় তার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা