২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সক্ষমতার অভাবে শিক্ষা বাজেটের ২০ শতাংশ অর্থ ফেরত যাচ্ছে

আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবসে ভার্চুয়াল সংলাপ
-

প্রতি বছরই শিক্ষা খাতে যে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয় সেখান থেকে ২০ শতাংশ ফেরত যাচ্ছে। আর এটা হচ্ছে সক্ষমতার অভাব আর জনবল সঙ্কটের কারণেই। যদিও শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। কিন্তু শিক্ষায় জাতীয় বাজেটের যে দুই শতাংশ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় তা পুরোপুরি ব্যয় হয় না। ৮০-৮৫ শতাংশ ব্যয় হলেও বাকিটা যায় ফেরত। গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস-২০২২ উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল সংলাপে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, অনেকে শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি তুললেও বর্তমান বাজেটে বরাদ্দ দেয়া সব অর্থ ব্যয় করতে পারছে না। মোট বরাদ্দের ৮০-৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় করে বাকিটা ফেরত দিচ্ছে। সক্ষমতা ও জনবল সঙ্কটের কারণে এমন হচ্ছে। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা। বর্তমান সরকার শিক্ষাব্যবস্থায় অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। সংখ্যাগত শিক্ষার হার বেড়েছে অনেক। তবে মানসম্মত শিক্ষা থেকে আমরা পিছিয়ে আছি। এখনো গুণগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়নি। শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক আন্দোলন প্রয়োজন। এ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত দেশে সর্বজনীন বাধ্যতামূলক শিক্ষা করা প্রয়োজন বলেও মত দেন তিনি।
শিক্ষার নামে অনেকে বাণিজ্য করছে। কেউ আবার সনদ বিক্রি করছে। এমনকি দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ছাড়া চলছে বলেও অভিযোগ করেন প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, আমরা মানবসম্পদ তৈরি থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। ফলে আমাদের শ্রমিকরা বিদেশে গিয়ে অল্প মজুরি পাচ্ছে। সেখানে তাদের শিকার হতে হচ্ছে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতায়।
আলোচনায় অংশ নেয়া গবেষকরা বলেন, ঝরে পড়া ছেলেমেয়েদের স্কুলে ফিরে যাওয়ার পথ সহজ নয়। অনেক মেয়ে বাল্যবিয়ে, কাজে যুক্ত হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ঝরে যাচ্ছে। পরে তারা পড়ালেখায় ফিরে আসতে চাইলেও তা সহজে পারছে না। সে জন্য নৈশ স্কুলের সংখ্যা বৃদ্ধি ও গ্রামের স্কুলে রাতের শিফটে ক্লাস চালু করার দাবি জানান তারা। এ প্রসঙ্গে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ঝরে পড়া মেয়েদের পড়ালেখায় ফিরিয়ে আনতে তাদের জন্য উপবৃত্তি চালু করা প্রয়োজন।
আরেক গবেষক প্রাবণ কান্তি ঘোষ বলেন, গ্রামে কারিগরি শিক্ষায় মেয়েরা আসতে চায় না। সেখানের মানুষ মনে করে এসব কাজ ছেলেদের জন্য, মেয়েরা কেন এসব বিষয়ে পড়ালেখা করবে। অনেক কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় বড় ল্যাব করা হলেও সেখানে ইন্সট্রাক্টর নেই বলে সেগুলো নষ্ট হওয়ার পথে। অনেক দুর্গম এলাকায় শিশুরা ক্ষুধার জন্য ছুটি হওয়ার আগে স্কুল ছেড়ে বাসায় চলে যায়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক জেলায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
অপর আলোচক বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিশুদের দুপুরে পুষ্টিকর খাবার বিতরণ করতে নির্দেশনা দিলেও সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। দেশের অনেক জেলার স্কুলে পুষ্টিকর বিস্কুট বিতরণ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কারিগরি ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাকে আলাদা করে দেখা হয় বলে আমাদের শিক্ষার মান বাড়ানো যাচ্ছে না। সব স্তরের শিক্ষাকে অভিন্নভাবে সাজাতে হবে। শিক্ষার গতি এক না হলে তা কল্যাণে আসবে না। আমাদের উচ্চশিক্ষার অনেক সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসককে যদি প্রশাসনের দায়িত্বে বসানো হয় তবে জটিলতা তৈরি হবে। সংখ্যা দিয়ে কোনো দেশের শিক্ষার মান বিবেচনা করা যাবে না।
শিক্ষাবিদ কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, শিশুদের জন্য শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হলে আগে শিক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। ২০১০ সালে এ আইন প্রণয়ন করা হলেও এখনো তা ঝুলে রয়েছে। শিক্ষা সংলাপ সঞ্চালনা করেন আয়োজন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী রাশেদা কে চৌধুরী।


আরো সংবাদ



premium cement
চুয়াডাঙ্গায় হিট‌স্ট্রো‌কে যুবকের মৃত্যুর ৭ ঘণ্টা পর নারীর মৃত্যু ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৬ শ্যালকদের কোপে দুলাভাই খুন : গ্রেফতার ৩ তীব্র গরমে কী খাবেন আর কী খাবেন না এবার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে বললেন এমপি জয় পঞ্চপল্লীর ঘটনায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে যা দরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করার নির্দেশ সরকার ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল ধুনটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১

সকল