২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জিয়া-এরশাদের নেতৃত্বেই দেশে আইনের শাসনের ব্যত্যয় ঘটেছে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামে নতুন আইনজীবীদের সনদ প্রদান করছেন: পিআইডি -

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়া-এরশাদ দেশে সামরিক শাসন চালিয়ে শত শত দেশপ্রেমিক সৈনিক, কর্মকর্তা ও জওয়ানদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। কাউকে কথা বলা বা আইনের আশ্রয় নেয়ার সুযোগ দেয়নি। তারা ক্যাঙ্গারু কোর্ট ও সামারি ট্রায়ালের মাধ্যমে নিজেদের খেয়াল খুশিমতো ফরমায়েশি রায় বাস্তবায়ন করেছে। কোনো আইনের তোয়াক্কা করেনি। তিনি বলেন, জিয়া-এরশাদের নেতৃত্বেই দেশে আইনের শাসনে ব্যত্যয় ঘটেছে।
গতকাল শনিবার তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সমিতি মিলনায়তনে নবীন আইনজীবীদের নবীন বরণ ও পেশাগত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন বক্তৃতা করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জ্ঞান ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করেছে। ফলে মানুষের মধ্যে বহুমাত্রিক চিন্তাচেতনা গড়ে ওঠেছে। অথচ বিএনপির শাসনামলে গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দী করে রাখা হয়েছিল। অস্ত্রের ঝনঝনানিতে মানুষ তখন সবসময় তটস্থ থাকত। তাদের মধ্যে গণতান্ত্রিক কোনো মূল্যবোধ ছিল না। গণতন্ত্রকে তারা অস্ত্রের কাছে জিম্মি করে রেখেছিল। বর্তমান সরকার সে অবস্থা থেকে সমাজে আইনের শাসন ফিরিয়ে এনেছে। তিনি বলেন, আইনজীবীরা সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সমাজের মানুষের আস্থার ঠিকানা হয়ে ওঠতে পারে। এ জন্য নবীন আইনজীবীদের তাড়াহুড়ো করলে চলবে না। ধৈর্র্য ধরে আইন পেশার মতো জটিল বিষয় আয়ত্ত করতে হবে। পেশাগত মর্যাদা অক্ষুণœ রাখতে হবে। পেশাগত কর্মশালায় এসব বিষয় নবীনদের জানানো হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ প্রতিষ্ঠায় ইতোমধ্যে আইনমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন। দ্রুত তা কার্যকর করা হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে সন্ত্রাস উগ্রবাদ ও মাদক দমনে র্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। র্যাবের কার্যক্রমের কারণে উগ্রবাদ মাথাচড়া দিয়ে ওঠতে পারেনি। শুরুতে নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। সন্ত্রাসীদের দমন করা সম্ভব হয়েছে। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনায়নে র্যাবকে তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যাপ্ত সাহায্য সহযোগিতা করেছে। প্রশিক্ষণ দিয়েছে। অথচ বর্তমানে একটি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী মহল র্যারেব বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, যারা দেশে স্থিতিশীলতা চায় না, উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়ে যাক যারা চায়-তারাই র্যাবকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আন্তর্জাতিক কয়েকটি নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে চক্রান্ত করছে। মন্ত্রী বলেন, কুখ্যাত গুয়ান্তানামো বে কারাগারসহ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলে অনেক মানবাধিকার বিরোধী কার্যক্রম হয়। মানুষের অধিকার হরণ হয়। অথচ এসব প্রতিষ্ঠান তা দেখতে পায় না। সেসব ক্ষেত্রে তাদের কোনো বিবৃতি দেখা যায় না। তাদের কার্যক্রমে বোঝা যায়-তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব করছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পরীর পাহাড় বা কোর্ট হিল নিয়ে সাম্প্রতিক যে টানাপড়েন চলছে তা কাম্য নয়। সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে এ টানাপড়েন থাকবে না। আগে এ পাহাড়ের নান্দনিকতা ছিল উল্লেখ করে এ পাহাড়ে যেকোনো স্থাপনা নির্মাণে নান্দনিকতা বজায় থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে তিনি কয়েকজন নবীন আইনজীবীর মধ্যে সমিতির সদস্য সনদ হস্তান্তর করেন।


আরো সংবাদ



premium cement