২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

হেলথ টিপস : ব্রণ নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়

-

টক দই, লবঙ্গ ও নিমপাতা ব্যবহার করে ব্রণ নিরাময় করা যায়।
ব্যস্ত জীবনে ব্রণ, দাগছোপ ছাড়া নিখুঁত ত্বক পাওয়া অনেকটাই স্বপ্নের মতো। নিজের প্রতি যতœ নেয়ার সময় যেমন কম হয় অন্য দিকে পরিবেশের দূষণ ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ত্বকের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
ঘরোয়া উপায়ে ব্রণ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানান বাংলাদেশে সৌন্দর্যচর্চায় স্পা ঘরানার পথপ্রদর্শক এবং হারমনি স্পায়ের কর্ণধার রাহিমা সুলতানা রীতা।
তার মতে, সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকেই ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। কারণ ‘সিবাম’ গ্রন্থি থেকে যে তেলের নিঃসরণ ঘটে এর সঙ্গে ধুলাবালু মিশে সংক্রমণ তৈরি হয়। ফলে দেখা দেয় ব্রণ।
তাই তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের সবসময় ত্বক পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করা প্রয়োজন। এ ছাড়াও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের ঘাটতি, হরমোনের ভারসাম্যহীনতাসহ নানান স্বাস্থ্যঝুঁকিও ব্রণের অন্যতম কারণ বলে জানান তিনি।
ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপায়ের সাহায্যেও ব্রণের সমস্যার সমাধান করা যায়।
প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে ব্রণের চিকিৎসা করার সহজ উপায় সম্পর্কেও পরামর্শ দেন তিনি।
ব্রণের প্যাক তৈরি
উপকরণ : লবঙ্গ গুঁড়ো, টক দই, নিম পাতা (ঐচ্ছিক)।
পদ্ধতি : ব্রণের অবস্থা অনুযায়ী পরিমাণ মতো লবঙ্গ গুঁড়ো ও টক দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে হবে। চাইলে এতে সামান্য নিম পাতাও যোগ করা যায়।
মিশ্রণটি কেবল ব্রণের ওপরে ব্যবহার করতে হবে। প্যাক শুকিয়ে এলে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে মুখ ধোয়ার পরে তেলবিহীন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
উপকারিতা
ব্রণ দূর করতে লবঙ্গ খুব ভালো কাজ করে। এতে আছে অ্যান্টিসেপ্টিক যা জীবাণুনাশ করে। টক দইয়ে আছে প্রোবায়োটিক। এই দুই উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার করা হলে তা ব্রণের জীবাণু কমায় এবং নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ দূর হয়।
নিম পাতায় রয়েছে ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংস করার মতো ক্ষমতা।
টক দইয়ের সাথে লবঙ্গ ও নিমপাতার গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা হলে এর কার্যকারিতা আরো বৃদ্ধি পায় বলে জানান রূপ বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা রীতা। ইন্টারনেট।


আরো সংবাদ



premium cement