২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেনও বেড়েছে

ডিএসইর মূলধন বাড়ল ৬.৭৪ হাজার কোটি

-

কয়েক দিনের বড় উত্থানে সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক ও লেনদেন বেড়েছে পুঁজিবাজারে। এতে গেল সপ্তাহে বাজার মূলধনও বেড়েছে দেশের পুঁজিবাজারগুলোতে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৫২ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ গেল সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ছয় হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ১৪ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে। অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। একইভাবে বাজার মূলধন কমলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ কমে যায়। বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি গেল সপ্তাহে ডিএসইতে যে ক’টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে বেড়েছে তার থেকে বেশি। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৭৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৮টির। আর ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮৪ দশমিক ১১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচক কমে ২৩৯ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি গেল সপ্তাহে বেড়েছে ইসলামী শরিয়াহভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে সূচক বেড়েছে ১৬ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচক কমে ৩৭ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকও গেল সপ্তাহে বেড়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে এ সূচক বেড়েছে ৩৩ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচক কমে ৯২ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ।
গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার সাত কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় এক হাজার ২৬১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ২৫৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৩৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ছয় হাজার ৩০৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে এক হাজার ২৬৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৫২ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৯৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওয়ান ব্যাংকে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪২৮ কোটি ২৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা। ১৯৯ কোটি ৫৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।
এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেÑ আইএফআইসি ব্যাংক, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, বেক্সিমকো ফার্মা, জিনেক্স ইনফোসিস, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ওরিয়ন ফার্মা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৪২ কোটি ৬৫ লাখ ৯৭ হাজার ৭২৬ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৬১ কোটি ৯২ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১৯ কোটি ২৬ লাখ ২০ হাজার ৭৩৪ টাকা বা ৭ শতাংশ কমেছে।
সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯৬.৭৫ পয়েন্ট বা ০.৯৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২৫৪.৮৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১২০.২২ পয়েন্ট বা ০.৯৯ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৪০.৮৬ পয়েন্ট বা ১.৭০ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২২.৩৪ পয়েন্ট বা ১.৪৬ শতাংশ এবং সিএসআই ১১.০৬ পয়েন্ট বা ০.৯০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ১৮০.৪৮ পয়েন্ট, ১৪ হাজার ৩৫৪.৩৪ পয়েন্টে, এক হাজার ৫৪৮.১২ পয়েন্টে এবং সিএসআই এক হাজার ২৩৯.২৪ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৫৩টির বা ৪৫.১৩ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৬২টির বা ৪৭.৭৯ শতাংশের কমেছে এবং ২৪টির বা ৭.০৮ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement