৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ ভেরিফিকেশনে স্থবিরতা
- শাহেদ মতিউর রহমান
- ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০, আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬:২৯
কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে নির্ধারিত সময়েও শেষ হচ্ছে না শিক্ষক নিয়োগের পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া। ফলে নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করতে পারছেন না চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৩২ হাজার ২৮৩ জন শিক্ষক। কয়েক মাস থেকে শুরু হওয়া সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় ভেরিফিকেশনের কাজও শেষ করতে পারছেন না পুলিশ সদস্যরা। ফলে পুরো নিয়োগ কাজেই স্থবিরতা তৈরি হয়েছে।
এ দিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩২ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রম ডিমেতালে চলছে। যদিও বেশ কিছু শিক্ষকের তাদের ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তারপরেও পুরো প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে আংশিকভাবে কোনো শিক্ষককে যোগদানের সুযোগ নেই।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩২ হাজারের অধিক শিক্ষকের ভেরিফিকেশন শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই কার্যক্রম শেষ করার তাগাদা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কারণে ভেরিফিকেশন কার্যক্রম কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া শেষে সবাইকে একসাথে সুপারিশপত্র দেয়া হবে।
সূত্র আরো জানায়, ৩২ হাজার ২৮৩ জন শিক্ষকের ভেরিফিকেশন শেষ হওয়ার পর ফরমগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে ভি রোল ফরম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে পাঠানো হবে। ফরমগুলো যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেবে এনটিআরসিএ।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) ফৌজিয়া জাফরীন গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের জানান, ৩২ হাজারের বেশি শিক্ষকের পুলিশ ভেরিফিকেশনের কার্যক্রম চলছে। এ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের যোগদানের কোনো সুযোগ নেই।
তথ্যমতে, গত ৩০ মার্চ ৫৪ হাজার শূন্যপদের বিপরীতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তবে বিভিন্ন নিবন্ধনের রিটকারীদের জন্য দুই হাজার ২০০ পদ সংরক্ষণ করে বাকি পদগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়। আবেদন না পাওয়ায় এবং মহিলা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদ ফাঁকা রেখে ৩৮ হাজার ২৮৬ পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। তবে ছয় হাজার তিনজন প্রার্থী পুলিশ ভেরিফিকেশনের ফরম পূরণ করে না পাঠানোয় ৩২ হাজার ২৮৩ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে।