২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টানা ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি

-

জুলাই থেকে মূল্যস্ফীতি টানা ঊর্ধ্বমূখী। চলতি অর্থবছরের সূচনা থেকেই এটা বেড়েই চলছে। অক্টোবরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি) দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। যেখানে আগের মাস সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর আগস্টে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং জুলাইতে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই এই সূচকটি অক্টোবরে বেড়েছে। তবে বাজেটে এই হার ৫ দশমিক ৩ শতাংশে আটকে রাখার পরিকল্পনা প্রাক্কলন করে সরকার। অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুরের মতে, এই তথ্য প্রকাশ বাস্তব বাজারমূল্য ভিত্তিক হওয়া উচিত। তা না হলে অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এই তথ্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত সোমবার প্রকাশ করেছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে গড় মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৩ শতাংশে আটকে রাখার লক্ষ্য ধরেছে সরকার। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে এই লক্ষ্য ধরা ছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। কিন্তু অর্থবছর ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতির হার নিয়ে সমাপ্ত হয়। অর্থাৎ বাজেটের লক্ষ্যের মধ্যে আটকে রাখতে পারেনি সরকার। খানিকটা বেশিই ছিল।
বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, গত অক্টোবরে বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ২২ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আগের মাস সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ২১ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ।
অক্টোবর মাসে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ। অক্টোবরে শহরাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে হয়েছিল ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ।
বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, অক্টোবর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গ্রামে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। এই মাসে শহর এলাকায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতির হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যালোচনায় বিবিএস বলছে, গত সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় অক্টোবরে চাল, আটা, ময়দা, চিনি, ব্রয়লার মুরগি, ডিম, পেঁয়াজ, সবজিসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। তাই মূল্যস্ফীতির হারও সামান্য বেশি।
মূলস্ফীতির হার বৃদ্ধির ব্যাপারে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলছেন, বিবিএস মূল্যস্ফীতির যে তথ্য প্রকাশ করে, তার সাথে বাজারের পণ্য মূল্যের বাস্তব প্রতিফলনের যথেষ্ট ঘাটতি থাকে বলে অনেকেই প্রশ্ন করেন। এ ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য বিবিএসের উচিত বাস্তবভিত্তিক তথ্য প্রকাশের দিকে মনোযোগ দেয়া।
আর বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ ব্যাপারে বলেন, আমরা মাঠ পর্যায় থেকে যে তথ্য পাই, সেই তথ্যের ভিত্তিতেই মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করি। এখানে কোনো প্রশ্ন উঠার কারণ নেই।


আরো সংবাদ



premium cement
মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন : যা বলছে আওয়ামী লীগ মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ল ৮ বসতবাড়ি রিজওয়ানকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ব্র্যাডম্যান বললেন আফ্রিদি গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক্টরচাপায় নারী নিহত অভিযোগ করার পর ইনসুলিন ইঞ্জেকশন কেজরিওয়ালকে! হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা তালায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি পরিবারের মাঝে জামায়াতের সহায়তা প্রদান শেরপুরের মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট আবারো বৃষ্টির শঙ্কা দুবাইয়ে, চিন্তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ সিদ্ধিরগঞ্জে চোর আখ্যা দিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

সকল