২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ক্ষমতার অপব্যবহার করে দণ্ড মওকুফ সুশাসনের পরিপন্থী : সুজন

জনপ্রশাসনে বিচারাধীন ২৪ মামলা
-

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৪টি বিভাগীয় মামলা মুলতবি রয়েছে। দিনের পর দিন এসব বিভাগীয় মামলার তদন্ত চলছে। ছয় মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত মুলতবি রয়েছে এসব মামলা। সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও উপসচিবরা এসব মামলা তদন্ত করছেন। সময়মতো তদন্ত শেষ না হওয়ায় নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগের মাসিক পর্যালোচনা সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রশাসনে কারো অপরাধ প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। তার পরেও বিভাগীয় মামলায় শাস্তি হওয়ার নজির হাতেগোনা। বিভাগীয় মামলায় প্রশাসনে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযোগ গঠনপূর্বক মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে জনপ্রশাসন সচিব কারণ দর্শানো নোটিশ জারি অথবা ব্যক্তিগত শুনানি গ্রহণ করেন। এরপর কাউকে শাস্তি প্রদান কিংবা অব্যাহতি দেয়া হয়। এর পরেও যারা শাস্তি পান তারাও বিভিন্নভাবে তদবির করে দণ্ড মওকুফ করিয়ে নিচ্ছেন।
শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগের মাসিক পর্যালোচনা সভার সর্বশেষ তথ্যানুসারে এই মুহূর্তে ২৪টি বিভাগীয় মামলা ছয মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত মুলতবি রয়েছে।
যেসব তদন্ত দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলে আছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেÑ নরসিংদী জেলা পরিষদের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার মান্নুর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা। তার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি না দেয়া এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কথা বলে টাকা আদায়সহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এটি তদন্ত করছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হামিদা বেগম। মান্নু বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হয়ে আছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয় ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি। অর্থাৎ এ মামলাটির তদন্তকাজ শেষ হয়নি ৩৪ মাসেও।
এরপর ১৫ মাস ধরে তদন্ত চলছে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সাবেক পরিচালক এ কে এম রেজাউল করিমের মামলা। তার বিরুদ্ধে ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক করার পর প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এটি তদন্ত করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দীন। রেজাউল করিম বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় রয়েছেন।
গত ১৫ জুন থেকে তদন্ত চলছে সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের সাবেক কাউন্সেলর (উপসচিব) মো: মেহেদী হাসানের। এই মামলাটি তদন্ত করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবু আহমেদ সিদ্দিক। তার বিরুদ্ধে দূতাবাসের সেইফ হোমে আশ্রিত গৃহকর্মী হেনা আক্তারকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।
গত ২৯ জুন থেকে তদন্ত চলছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব লোকমান আহমেদের মামলা। তার বিরুদ্ধে জাল যোগদানপত্রের রিসিভ কপি দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। এ মামলাটি তদন্ত করছেন একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো: সবুর হোসেন।
গত বছরের ৩০ জুলাই থেকে মুলতবি রয়েছে মুন্সীগঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং বর্তমানে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সচিব আবু জাফর রাশেদের মামলা। তার বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করা এবং স্ত্রী সন্তানদের খোঁজখবর না রাখার অভিযোগ রয়েছে। এই মামলাটি তদন্ত করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবদুর রউফ মিয়া।
ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল এবং বর্তমানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আইন কর্মকর্তা (উপসচিব) মো: ইকরামুল হক সরকারের বিরুদ্ধে গত বছরের ১০ আগস্ট বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। তিনি নোয়াখালীর ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন নোয়াখালী এবং লক্ষ্মীপুরের খিলপাড়া ও দত্তপাড়া ডাকঘরে যথাক্রমে ২০ (বিশ) কোটি ৩৮ (আটত্রিশ) টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ কর্তৃক দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে ডাকঘর দু’টিতে যথাযথ পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়নি মর্মে মন্তব্য রয়েছে। প্রতিবেদনে মনিটরিংয়ের দায়িত্বে যাদের নাম বলা হয়েছে তাদের মধ্যে নোয়াখালীর সাবেক ডেপুটি পোস্টমাস্টার মো: ইকরামুল হক সরকার অন্যতম। তার এই মামলাটি তদন্ত করছেন বিএডিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) এ এফ এম হায়াতুল্লাহ।
বিপিএটিসির সাবেক পরিচালক (উপসচিব) বর্তমানে এনটিআরসিএর পরিচালক তাহসিনুর রহমানের বিরুদ্ধে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। ৬৪তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স এবং ১১৮তম এসিএডি প্রশিক্ষণ কোর্সের অব্যয়িত ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে অডিট আপত্তি উত্থাপিত হয়। এই মামলাটি তদন্ত করছেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহমেদ প্রধান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সাবেক সহকারী কমিশনার মো: সারোয়ার সালামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয় গত বছরের ১৩ আগস্ট। বর্তমানে তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তানের খোঁজখবর না রাখা এবং সহকর্মীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সেলিনা খানম।
সিলেট সদরের সাবেক সহকারী কমিশনার খালেদা খাতুন রেখার বিরুদ্ধে মামলাটির তদন্ত শুরু হয়েছে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর। তিনি বর্তমানে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা। তার মামলাটির তদন্ত করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আলাউদ্দীন আলী।
কুড়িগ্রামের সাবেক সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে হওয়া মামলা তদন্ত করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু কায়সার খান। নাজিম উদ্দিন সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী মো: আলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। আলিমউল্লাহ বর্তমানে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ ইমতিয়াজের মামলা তদন্ত করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সেলিনা খানম। আসিফ ইমতিয়াজ বর্তমানে ওএসডি অবস্থায় রয়েছেন। নীলফামারী জেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসিল্যান্ড মো: আরিফুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জাকিয়া সুলতানা। ২০২০ সালের ৩০ জুলাই মামলাটি করা হয়।
কক্সবাজারের পেকুয়ার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈকা সাহাদাতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় গত বছরের ২০ ডিসেম্বর। তিনি বর্তমানে পরিকল্পনা বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। এই মামলাটি তদন্ত করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আশফাকুল হক চৌধুরী।
এ ছাড়া মামলা চলমান রয়েছে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং বর্তমানে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) সুমিত সাহা, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সহকারী সচিব (ক্যাডার-বহির্ভূত) জুলহাজ আলী সরকার, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সাবেক উপপরিচালক (সিনিয়র সহকারী সচিব) মোহাম্মদ ফারুক আহমদ, ভোলার দৌলতখান উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা বর্তমানে জুরাছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জীতেন্দ্র কুমার নাথ, সাবেক বগুড়ার গাবতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বর্তমানে জাপানে অধ্যয়নরত মোহাম্মদ শামীম সোহেল, নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক উপপরিচালক মো: সাইদুর রহমান, বগুড়ার সাবেক সহকারী কমিশনার এবং বর্তমানে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার সহকারী কমিশনার জগৎবন্ধু মণ্ডল, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো: সারওয়ার আলম, নওগাঁ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা বর্তমানে বালিয়াডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুদুল হাসানে বিরুদ্ধে। বর্তমানে মামলার তদন্ত ঝুলে রয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বিভাগীয় মামলার তদন্ত বিলম্বিত হলে কর্মকর্তাদের পদোন্নতিসহ প্রাপ্য অনেক কিছু ঝুলে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিভাগীয় মামলায় যথাযথ শাস্তি হয় না। নানাভাবে প্রভাব খাটিয়ে ও কৌশলে গুরুদণ্ডকে লঘু আর লঘুদণ্ডকে শাস্তির বাইরে রাখা হয় বলে অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। সম্প্রতি সাবেক দুইজন জেলা প্রশাসককে বিভাগীয় মামলায় শাস্তি দেয়া হলেও পরে রাষ্ট্রপতি তাদের দণ্ড মওকুফ করে দিয়েছেন।
বালুমহালের ইজারার টাকা সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া যায় মৌলভীবাজার ও নীলফামারীর সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) নাজিয়া শিরিনের বিরুদ্ধে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে বিভাগীয় মামলা শেষে তাকে লঘুদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে নাজিয়া শিরিন রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করলে রাষ্ট্রপতি নাজিয়া শিরিনের আপিল আবেদন বিবেচনা করে আগে প্রদত্ত ০২ (দুই) বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার সাজা বাতিল করে তাকে দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করেন।
কুড়িগ্রামের আলোচিত সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনকে দেয়া লঘুদণ্ড মওকুফ করেছে সরকার। অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এর আগে তার দুই বছরের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়। মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় দীর্ঘ দিন তদন্ত শেষে অভিযুক্ত সুলতানা পারভীনকে এই শাস্তি দেয়া হয়েছিল। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন গত ২৩ নভেম্বর জারি করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার নয়া দিগন্তকে বলেন, যেসব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে কেবল সেসব ক্ষেত্রে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। তাই দুর্নীতি নির্মূল করতে অবশ্যই অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যারা তদন্তের সাথে যুক্ত আছেন তাদের খেয়াল রাখতে হবে, যেন অপরাধ করে কেউ ছাড়া না পায়, আবার নিরপরাধ কারো যেন শাস্তি না হয়। ঢালাওভাবে দণ্ড মওকুফের বিষয়টি সুশাসনের পরিপন্থী। ক্ষমতার অপব্যবহার করে দণ্ড মওকুফ করা হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. মোসলেহ উদ্দীন বলেন, বিভাগীয় মামলায় দেয়া দণ্ড মওকুফ করা হলে এক দিকে অসৎ কর্মকর্তারা বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে অন্য দিকে ভালো কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিতে পারে। ফলে জনপ্রশাসন দুর্বল হয়ে পড়বে। এতে জনবান্ধব প্রশাসন গড়তে সরকারের যে পদক্ষেপ তা কার্যকর হবে না। এ জন্য দণ্ড একেবারে মওকুফ না করে গুরুদণ্ড পাওয়া কর্মকর্তাকে লঘুদণ্ড দিয়ে শাস্তি কমানো যেতে পারে।

 


আরো সংবাদ



premium cement