২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

-

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি স্বার্থান্বেষী মহল হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকার সহিষ্ণুতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তির চেতনাকে সমুন্নত রাখতে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও দেশের ইমেজ ক্ষুণœ করার অপচেষ্টা রুখতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সব গণমাধ্যম দায়িত্বশীল ও তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে পরিস্থিতির অধিকতর জটিলতা ও বিভ্রান্তি এড়াতে ভূমিকা রাখবে বলে সরকার আশা করে।
গতকাল দেয়া এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, ৫০ বছর আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো সহিংসতা, ঘৃণা ও ধর্মান্ধতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে, যা দুঃখজনক। অন্যতম বৃহৎ একটি ধর্মীয় উৎসবকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক ও বহুত্ববাদী ভাবমর্যাদাকে ক্ষুণœ করার চেষ্টা করছে। উৎসবমুখর পরিবেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা উদযাপন ও তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের সংহতি প্রকাশকে সরকার সাধুবাদ জানাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে সরকার পুনর্ব্যক্ত করতে চায়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান আমাদের গণতান্ত্রিক নীতির ভিত্তি। শতাব্দীকাল ধরে নানা গোত্র ও ধর্মবিশ্বাসের মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতির সাথে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সহিষ্ণুতা ও অন্তর্ভুক্তির দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত। দেশের সর্বোচ্চ আইন সব নাগরিককে যেকোনো ধরনের বৈষম্য ও অসহিষ্ণুতা থেকে সুরক্ষা দেয়। ধর্ম-গোত্র নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিককে মৌলিক অধিকার উপভোগের নিশ্চয়তা গণতান্ত্রিক সরকার দিয়ে থাকে। সব ধর্মের মানুষের জন্য নিজ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা এবং ধর্ম পালনের অধিকার বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে সমুন্নত রাখবে।
মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতি: গতকাল মার্কিন দূতাবাস থেকে দেয়া এক বিবৃৃতিতে বলা হয়েছে, যেসব পরিবার সাম্প্রতিক ধর্মীয় সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। ধর্ম পালনের স্বাধীনতা পবিত্র। আমাদের সবাইকে লক্ষ্য-নির্দিষ্ট সহিংসতা এবং পরিকল্পিত ঘৃণার বিরুদ্ধে অবিচল থাকতে হবে। সহিংসতার কোনো ভয় ছাড়াই প্রত্যেকে যেন নিজ নিজ বিশ্বাসের ধর্মীয় আচার বা উৎসবে অংশ নিতে পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে হবে। বৈচিত্র্য, ঐক্য এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সব বিশ্বাসের বাংলাদেশীদের পাশে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement