সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে উগ্রগোষ্ঠী কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, তারাই দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনা নিশ্চয়ই বের হবে, দিবালোকের মতো স্পষ্ট হবে এবং কী উদ্দেশ্যে এটি ভিডিও করে আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে, সেই উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট। দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা-স্থিতি আছে, দেশ করোনা মহামারীর মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে, মহামারীও নিয়ন্ত্রণে আসছে। সুতরাং বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছাতে ব্যর্থ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার স্বার্থে বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের দোসর সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠী মিলেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কারা রাজনীতি করে- সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে নিয়ে যারা রাজনীতি করে, যারা দেশটাকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়, কথায় কথায় এই দেশকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র করতে চায়, তারা তো বিএনপি জোটের মধ্যে আছে। বিএনপির মধ্যে অনেক নেতা আছে যারা এই দেশটাই চায়নি। যারা এই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারাই কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ফুড পলিসি ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট প্রকাশিত বিশ্ব ক্ষুধাসূচকে ২০১৯ সালের তুলনায় ১৩ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৭৫তম, যেখানে ভারতের অবস্থান ৯৮তম, পাকিস্তানের অবস্থান ৮৮তম। আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীতে ৯২তম এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশে মাথাপিছু কৃষিজমির পরিমাণ সর্বনি¤œ। তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে, কৃষি ও কৃষকবান্ধব নানা কর্মসূচি এবং নীতির কারণে আমরা সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, ধান উৎপাদনে তৃতীয়, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয় এবং চতুর্থের মধ্যে ওঠানামা করে এবং আলু উৎপাদনে সপ্তম। এটি বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছেও বিস্ময়। আমরা এক বিলিয়ন ডলারের বেশি কৃষিপণ্য রফতানি করছি। এটিকে দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা এবং ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এগোচ্ছে।
একই সাথে আইনের শাসক সূচকেও বাংলাদেশ একধাপ এগিয়েছে বলে তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সমালোচনার মাধ্যমে কাজ শাণিত হয় কাজ শুদ্ধ হয়, সেটি আমরা চাই। কিন্তু যারা প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দা গরম করেন তারা সরকারের নেতৃত্বে এই অর্জনের পর তারা কি অভিনন্দন সরকারকে জানাবেন, এটি আমার প্রশ্ন। আইনের শাসন নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন তাদের প্রশ্নের মধ্যেই আইনের শাসন সূচকে আমরা একধাপ এগিয়েছি, এখন তারা কী বলবেন, সেটি আমার প্রশ্ন। ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসব অগ্রগতি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে দেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে একটি বিরাট মাইলফলক এবং এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন, একইসাথে দেশের সব মানুষকে অভিনন্দন, সাংবাদিকবৃন্দকেও অভিনন্দন।