শেষ হলো দুর্গাপূজা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৬ অক্টোবর ২০২১, ০০:০৫
শেষ হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব। দেবী বিসর্জনের দিনটিতে বিষাদের পাশাপাশি আনন্দমুখর হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। মন্দির-মণ্ডপে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ একে অপরের সাথে বিজয়ার শুভেচ্ছাবিনিময় করেছেন। কোথাও কোথাও বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের মতো এবারো ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ স্থানেই বিজয়া শোভাযাত্রা ছাড়াই প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। বিজয়া দশমীকে ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশের মণ্ডপ-মন্দিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়। বিপুলসংখ্যক পুলিশ-আনসার সদস্যের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় র্যাব ও গোয়েন্দা সদস্যদেরও। রাজধানীর ওয়াইজঘাটের বিসর্জনের স্থল ঘিরেও ছিল বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা।
রাজধানী ঢাকাসহ বেশির ভাগ স্থানেই গতকাল সকাল ১০টার আগেই দর্পণ বিসর্জন দেয়া হয়। এরপর মণ্ডপ-মন্দিরগুলোর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে রাজধানীর অনেক মণ্ডপ থেকে প্রতিমা বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটে বিসর্জন দেয়া হয়। টঙ্গীর তুরাগ নদীতেও কিছু প্রতিমার বিসর্জন হয়।
প্রতিমা বিসর্জনের আগে দিনব্যাপী নানা পূজা-অর্চনা চলে। সকাল ৮টা ২৪ মিনিটের মধ্যে শুরু হয় দশমীবিহিত পূজা। পূজা শেষে দর্পণ বিসর্জন দেয়া হয়। একই সাথে চলে ভক্তদের রঙের হোলি খেলা। পরম ভক্তি নিয়ে নিজ নিজ মনের বাসনা জানিয়ে দেবীর পায়ে সিঁদুর ছোঁয়ান নারীরা। সধবা নারীরা বিসর্জনের জন্য দেবীকে সাজান ফুল, সিঁদুর ও নানা অলঙ্কার দিয়ে। পুরোহিতরা দেবীর জন্য সাজান সেদ্ধ চালের নৈবেদ্য, কচু-ঘেচু, শাপলা দিয়ে। এরপর শেষ মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হয় দেবীকে।
গত সোমবার ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের এ দুর্গাপূজা শুরু হয়েছিল। তবে করোনার কারণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গাপূজা আয়োজন করা হয়। এবার ঢাকা মহানগরীর ২৩৭টিসহ সারা দেশে ৩২ হাজার ১১২টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবীদুর্গা এবার ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে স্বর্গালোক থেকে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) এসেছিলেন (আগমন)। যার ফল হচ্ছে ফসল ও শস্যহানি। দেবী স্বর্গালোকে বিদায় (গমন) নিয়েছেন দোলায় (পালকি) চড়ে। যার ফল হচ্ছে মড়ক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারীর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা