২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইভ্যালির রাসেল রিমান্ডে, শামীমা কারাগারে

-

ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো: রাসেলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তার রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এদিকে একই আবেদনে রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনের রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া মামলায় এই দম্পতির সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক এ আদেশ দেন।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, পণ্য না দেয়ায় তাদের অফিসে গিয়ে পাওনা টাকা চাইলে বিভিন্ন টালবাহানাসহ বাদির সাথে খারাপ আচরণ ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। এই মামলার সব আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পণ্যে উল্লিখিত টাকা পরিশোধ না করে প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেন।
এর আগে শুক্রবার ১৭ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম। ওই রিমান্ড শেষে গতকাল দুপুরে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে আদালতে হাজির করা হয়।
এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এস আই ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) অত্যন্ত সুচতুর, ধুরন্ধর ও কৌশলী। তারা জামিনে মুক্তি পেলে আবারো প্রতারণাসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বেন। এতে মামলার তদন্তে বিঘœ ঘটানোর আশঙ্কা রয়েছে।
প্রতিবেদনে তিনি আরো বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলেছেন। তারা গুরুতর প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। তবে আসামিরা রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও দিয়েছে, যা তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই চলছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে ফের রিমান্ডে নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।
গত বৃহস্পতিবার ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি দায়েরের পর ওই দিন বিকেলে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আরিফ বাকের গত ২৯ মে এবং জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে ইভ্যালিতে মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন। এগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেয়ার কথা থাকলেও তারা দেয়নি। ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়েও এর সমাধান পাওয়া যায়নি। অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা খারাপ ব্যবহার করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও রাসেলের সাথে দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বাদি আরিফ বাকের। তার সাথে ইভ্যালি চরম দুর্ব্যবহার করেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন বাকের।


আরো সংবাদ



premium cement