২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক মালেকের ১৫ বছর কারাদণ্ড

-

অস্ত্র আইনের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের আলোচিত গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অস্ত্র আইনের এক ধারায় ১৫ বছর ও আরেক ধারায় তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একসাথে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেছেন। রায় ঘোষণার সময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন মালেকের স্বজনরা। তারা সাজা শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন। মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল মালেক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। র্যাব আমার বাসা থেকে কোনো কিছুই পায়নি। আমি ন্যায়বিচার পাইনি, আমি মিথ্যা মামলায় জেল খাটব। কোনো অস্ত্র পায়নি আমার বাসা থেকে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন হাওলাদার ও আসামি পক্ষে আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এরপর বিচারক রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান চৌধুরী আসামি মালেকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর ১১ মার্চ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলাটি ঢাকার এক নম্বর মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে বিচারাধীন ছিল। গত ৫ সেপ্টেম্বর ওই আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সবার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলার অবশিষ্ট অংশ বিচারের জন্য এ আদালতে পাঠানো হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান আব্দুল মালেক।
অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেককে গ্রেফতার করে র্যাব-১। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশী জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব-১ এর পরিদর্শক (শহর ও যান) আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে তুরাগ থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement