বর্ষণে উপকূলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ৩১ জুলাই ২০২১, ০০:০৫
টানা বর্ষণে কক্সবাজারে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও লক্ষ্মীপুরসহ উপকূলীয় অঞ্চলে জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে ডুবে গেছে ফসলের মাঠ, ভেসে গেছে মাছের ঘের।
কক্সবাজার অফিস জানায়, টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজার জেলার আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জানা গেছে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পানিবন্দী হয়ে রয়েছে অন্তত চার লাখ মানুষ।
উখিয়া, চকরিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে দুই শিশুসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। গত সোমবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় এই নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে চকরিয়া পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মারুফ নামের এক শিশু মারা গেছে।
এছাড়া বালুখালী খাল থেকে এক এবং তুমব্রু খাল থেকে এক রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মুহাম্মদ আলমগীর জানান, টানা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে প্রাণ হারায় তারা। অপর দিকে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উখিয়ার বালুখালী-তেলীপাড়া খালে একটি লাশ উদ্ধার করে শনাক্তের পর ক্যাম্পে নিয়ে গেছে রোহিঙ্গারা। লাশটি ক্যাম্প-ডি-৫ এর এক রোহিঙ্গার বলে তারা জানান।
এ নিয়ে গত কয়েক দিনে কক্সবাজারে পাহাড়ধস ও পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে রোহিঙ্গাসহ ২৭ জনের। বৃহস্পতিবার রাতে চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়ার কাছে মাতামুহুরী নদীর বিশাল বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে আশপাশ এলাকা। এ ছাড়াও মাতামুহুরী নদীর আরো তিনটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধের ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। চকরিয়া উপজেলার সরকারি খাদ্যগুদাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। চকরিয়া, পেকুয়া ঈদগাও এবং রামু উপজেলার বিশাল এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। জেলার প্রধান নদী বাঁকখালী ও মাতামুহুরী এখনো বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে রামু ঈদগড় রোডে পানেরছরা ঢালার কাছে সড়কের বিরাট অংশ ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন জানায়, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের ৫২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ৭৬ হাজার ৫০০ পরিবারের চার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জেলার ৭১ ইউনিয়ন ও চার পৌরসভার মধ্যে ৫১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা প্লাবিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ ৩২ কোটি টাকা। প্লাবিত এসব এলাকায় ৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা জানান, লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলায় ৩১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ না থাকায় মেঘনার আকস্মিক জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় উপকূলীয় এলাকা। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৩৭ কিলোমিটার এলাকা মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ২০১৪ সালে মাত্র ছয় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। বেড়িবাঁধ না থাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, প্রয়োজনীয় পানি নিষ্কাশন, শস্য উৎপাদন ও লবণাক্ত পানিপ্রবাহ রোধ করা যাচ্ছে না। একটু জোয়ার হলেই পানিতে সব তলিয়ে যায়। এতে রাস্তাঘাট, ফসল, মৎস্যসম্পদসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদহানি ঘটে প্রতিনিয়ত। ফসলি জমিতে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ায় ক্রমশ হৃাস পাচ্ছে এলাকার ফসল উৎপাদন। বেড়িবাঁধ না থাকায় গত ৩০ বছরের রামগতি-কমলনগর উপজেলার ২ শ’ ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা, ৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২৬টি বাজার, রাস্তাঘাট ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে তলিয়ে গেছে। নদীভাঙা মানুষ ভিটোমাটি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সর্বশেষ গত ২৩ জুলাই শুক্রবার দুপুরে পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে রামগতি ও কমলনগরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ডুবে গেছে চরাঞ্চলের ফসলের মাঠ, ঘরবাড়ি ও মাছের ঘের। এতে দুই উপজেলার অন্তত ১৫ গ্রাম ডুবে পানিবন্দী হয়েছে প্রায় ১২ হাজার মানুষ। এ ছাড়াও কমলনগরের চরমার্টিন এলাকায় একটি সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামান বিচ্ছিন্ন হওয়া সড়কটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বলেন, জেলার চারটি উপজেলা উপকূলীয় হলেও রামগতি এবং কমলনগরে ব্যাপক হারে নদী ভাঙছে চলছে। সদর ও রায়পুরে তেমন নদীভাঙন নেই। তিনি জানান, জেলার দুটি উপজেলার ৩১ কিলোমিটার মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিন হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন হয়েছে। প্রকল্পটির অর্থছাড় পেলে ভয়াবহ ভাঙনকবলিত মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হবে।
ঝালকাঠি সংবাদদাতা জানান, পূর্ণিমা ও নি¤œচাপের প্রভাবে জোয়ার বৃদ্ধি ও বিরামহীন বর্ষণে ঝালকাঠির নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে পুকুর, মাছের ঘের ও আমনের বীজতলা। জানা গেছে, জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া, জয়খালী, হেতালবুনিয়া, চিংড়াখালী, কাঁঠালিয়া, দক্ষিণ আউরা, পশ্চিম আউরা, বড় কাঁঠালিয়া, কচুয়া, রগুয়ার চর, রগুয়ার দরিচর, আলোবুনিয়া ও জাঙ্গালিয়াসহ ১৫টির অধিক গ্রামের নি¤œাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
আলোবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো: মাইনুল হোসেন বলেন, জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসলের ক্ষেত ও বাড়ির আঙ্গিনাও পানিতে তলিয়ে গেছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিষখালী নদীর তীরে স্থায়ী কোনো বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেলেই নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়। বিষখালী নদীর তীরে যে মাটির বাঁধটি রয়েছে তা ঘূর্ণিঝড় আমফানে বিভিন্ন স্থান ভেঙে গেছে। যে কারণে খুব সহজে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে নিচু এলাকায়।
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, প্রবল বর্ষণে থেমে গেছে রাঙ্গাবালীর কৃষিকাজ। অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, বীজপালা ও পুকুর।
মাত্র কয়েক দিন আগে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছিল উপজেলার দুই ইউনিয়ন। পানিবন্দী হয়ে পড়েছিল কয়েক গ্রামের মানুষ। ওই পানি নামতে না নামতেই শুরু হয় প্রবল বর্ষণ। গত সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বর্ষণে তলিয়ে গেছে সব কয়টা ইউনিয়নের মাঠ-ঘাট, ফসলি জমি, আমন ধানের বীজক্ষেত ও গৃহস্থের পুকুর। বেশি সঙ্কটে পড়েছে কৃষক। চাষাবাদ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে তাদের। বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের কৃষক কামাল মুফতী, জায়েদুল হাওলাদার, শহিদুল মিয়াসহ অনেকে বলেন, একটানা বৃষ্টিতে বীজপালা ও চাষের জমি তলিয়ে রয়েছে। চাষাবাদ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তলিয়ে থাকা বীজ পচে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়াও গত তিন চার দিনে যে ধান বুনোনের কথা ছিল, বীজপালা পানিতে তলিয়ে থাকায় তাও বুনা সম্ভব হয়নি। এতে বীজধানের গজানো শিকর শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই ধান নষ্ট হয়ে গেলে বীজধান সঙ্কট দেখা দিবে।
পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা জানান, টানা ভারী বর্ষণে বরগুনার পাথরঘাটার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে অসংখ্য ছোট-বড় মৎস্য ঘের ও পুকুর। তলিয়ে আছে সদ্যরোপা আমনের বীজতলা ও ফসলি জমি। উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটা সংলগ্ন বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর বেড়িবাঁধও রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে।
পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি ও মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় মৎস্য ঘের ৮.৯০ হেক্টর, পুকুর ও দীঘি ২৩.৭২ হেক্টর ডুবে গেছে। এছাড়া অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে ৪০.৩০ লাখ টাকা। মৎস্য খাতে এ উপজেলায় মোট এক কোটি ১৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলায় এক হাজার ৪৬০ হেক্টর জমির আমন ধানের বীজতলা আছে যার মধ্যে ৮৭৬ হেক্টর বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত আছে। সবজি আছে ২১০ হেক্টর জমিতে এর মধ্যে ৭৪ হেক্টর সবজির গোড়া পানিতে নিমজ্জিত আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি পানি অপসারণ কারা না যায় তবে অনেক ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্তকুমার অপু জানান, হঠাৎ ভারী বর্ষণের কারণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মৎস্য ঘেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে জেলায় তালিকা পাঠিয়েছি তাতে মোট এক কোটি ১৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানান, সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়োবাতাসে সাতক্ষীরার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিগত চার দিন টানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে চিংড়ি ঘের, রোপা আমন ক্ষেত ও বীজতলা। বিশেষ করে শ্যামনগর, আশাশুনি, কালিগঞ্জ, দেবহাটা ও তালা উপজেলার অধিকাংশ চিংড়ি ঘের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃৃষ্টিতে দুর্ভোগ বেড়েছে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের বানভাসী মানুষের।
এদিকে সাতক্ষীরা পৌর সভার সমস্ত নিচু এলাকাও এখন পানির নিচে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এবং একই সাথে বৃষ্টি না কমায় জলাবদ্ধতার কবলে থাকা এলাকগুলোতে নতুন করে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ।
সাতক্ষীরার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই ছয় ঘণ্টায় ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এতে শহরের কামালনগর, ইটাগাছা, খড়িবিলা, বদ্দিপুর কলোনী, শহরতলির বকচরা, কাশেমপুর, সরকারপাড়া, আমতলার মোড় পানিতে তলিয়ে রয়েছে। শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রানসায়ের খালও পানি টানতে পারছে না। সদ্য খননকৃত খালের দু’পাড়ের মাটি ধসে পড়তে শুরু করেছে।
আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট গ্রামের চিংড়ি ঘের মালিক নুরুল আলম জানান, টানা বৃষ্টিতে তার ২৫০ বিঘার চিংড়ি ঘের সহ এই এলাকার প্রায় সব ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। চিংড়ি চাষের পিক মৌসুমে ঘের প্লাবিত হওয়ায় চাষিরা দারুণভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।
টানা বৃষ্টিতে ভেঙ্গে পড়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। হাঁস মুরগি ও গবাদিপশু নিয়ে মানুষ চরম বিপদে পড়েছে। চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের বানভাসি মানুষ। এখনো ঘরে ফিরতে না পারা মানুষের কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে বৃষ্টি।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন বলেন, টানা বৃষ্টিতে তার ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের কারণে নদীর পানি এখনো নিষ্কাশিত না হওয়ায় বৃষ্টিতে পানি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে ইউনিয়নের বানভাসি মানুষ। এছাড়া ঝড়োবাতাসে পল্লী বিদ্যুতের একটি খুঁটি উপড়ে পড়ায় পুরো ইউনিয়ন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এটি মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
পাইকগাছা (খুলনা) সংবাদদাতা জানান, পাইকগাছায় একটানা তিন দিনের ভারী বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে চিংড়ি ঘের, রাস্তাঘাট, আমনের বীজতলা ও ফসলি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক কাঁচা ঘর-বাড়ি। বিশেষ করে করোনাকালে বিধিনিষেধ চলাকালে একটানা বৃষ্টিতে ঘর থেকে বেরুতে না পেরে নি¤œ ও শ্রমজীবী পরিবারগুলো পড়েছে চরম দুর্ভোগে। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, বৃষ্টিতে অধিকাংশ এলাকার মৎস্য ঘের তলিয়ে একাকার হয়ে গেছে। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমনের বীজতলা। অনেক নি¤œ এলাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় সঙ্কটের মুখে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
এছাড়া রাড়–লী মালো পাড়ার কয়েকটি কাঁচা ঘর কপোতাক্ষ নদের ভাঙনে নদীগর্ভে ভেসে গেছে। সেখানকার অনেক পরিবার এখনো চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা