২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বৈরী আবহাওয়ায় ফেরি বন্ধ

৭ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাকের লাইন ঘাটে

-

বৈরী আবহাওয়ার কারণে পদ্মা উত্তাল হয়ে উঠেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এর আগে ভোর থেকে নৌরুটে চারটি রোরো ও দু’টি কেটাইপসহ ছয়টি ফেরি চলাচল করেছে। ফেরি বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সাত শতাধিক যানবাহন আটকে পড়েছে। এ দিকে বেশ কয়েকদিন ধরে পদ্মায় অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র স্রোত বইছে। ফলে ফেরিগুলো পারাপারে দ্বিগুণ সময় লাগছে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই এরুটে ছয়টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সাথে ঝড়োবাতাস শুরু হলে উত্তাল হয়ে উঠে পদ্মা। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাটের সহকারী ম্যানেজার মো: জামিল হোসেন বলেন, ঝড়ো বাতাসে পদ্মা উত্তাল হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদীতে প্রচণ্ড স্রোত বইছে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল গতকাল ৩ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বেলা ৩টায় আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় নৌরুটে ফেরি সচল করে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এর আগে দুপুর ১২টায় তীব্র স্রোত ও প্রচণ্ড বাতাসে নদী উত্তাল হতে শুরু করলে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদীতে তীব্র স্রোত ও প্রচণ্ড বাতাসে সকাল থেকে থেমে থেমে ফেরি চলাচল করছিল। দুপুরে নদী উত্তাল থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার পর আবারো সচল করা হয়েছে। বর্তমানে নৌরুটে চারটি রো রো ও তিনটি মিডিয়াম মিলিয়েছে সাতটি ফেরি চলাচল করছে। ফেরি বন্ধের সময় শিমুলিয়াঘাটে ও বাংলাবাজার আটকে পড়া সাড়ে ছয় শতাধিক যানবাহনকে পর্যায়ক্রমে এখন পারপার করা হবে।
রাজবাড়ী, গোয়ালন্দ ও বালিয়াকান্দি সংবাদদাতা জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পথে পথে ভোগান্তি, বৈরী আবহাওয়া ও উত্তাল পদ্মাও থামাতে পারছে না কর্মমুখী মানুষকে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে শত শত মানুষ ছুটছে ঢাকার পথে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে দেখা যায় এমন চিত্র।
যশোর থেকে আসা গাজীপুরগামী গার্মেন্টকর্মী রহিমা বেগম বলেন, প্যাটে ভাত না থাকলে মরার ভয় থাকে না, কিসের করোনা, কিসের ঝড় বৃষ্টি। ঢাকায় গিয়ে কাজে যোগ দিতে অইব, তা না হলে চাকরি থাকব না।
মাগুরা থেকে আসা ঢাকাগামী প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরিরত শরীফ আহমেদ বলেন, ছুটি শেষ হয়েছে আগেই, কঠোর লকডাউনের কথা শুনে ভেবেছিলাম কয়েকদিন পরেই যাই। কিন্তু অফিসের অন্য স্টাফরা সবাই কাজে যোগ দিয়েছেন, বস অনেক বকাঝকা করেছে তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই চাকরি বাঁচাতে ঢাকায় যাচ্ছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে না থাকার কারণ জানালেন সাকিব ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আগুনের হল্কা : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বৃষ্টির নামাজ আদায়ের নিয়ম আজও স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও মিরসরাইয়ে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট, মূল হোতা গ্রেফতার বৃষ্টি কামনায় ঈশ্বরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইসতিসকার নামাজ আদায় কুবিতে আল্টিমেটামের পর ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলাল শিক্ষক সমিতি সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহতের খবরে ঈশ্বরগঞ্জে শোক দুর্যোগে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কেন বাংলাদেশে?

সকল