২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ

-

দেশী শ্রমিকরা খনি থেকে বেরিয়ে আসায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। গত ২৫ জুলাই সকাল থেকে শ্রমিকদের খনিতে কাজে যোগ দিতে দেয়নি চীনা শ্রমিকরা। দেশী শ্রমিকরা সারা দিন খনির ওপরে অবস্থান করেন। শেষ পর্যন্ত বিকেলে একসাথে ৫০০ শ্রমিক খনি থেকে বেরিয়ে আসেন। এতে কয়লা খনির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
খনি শ্রমিক রবিউল ইসলাম বলেন, খনি থেকে শ্রমিকদের বিভিন্ন অজুহাতে বের করে দেয়া হয়েছে। উৎপাদন বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের বেতনভাতা দেয় না চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। খনি শ্রমিকরা ৯ মাস ধরে খনির ভেতরে অবস্থান করে আসছেন। কিন্তু এরপরও খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসির এক্সএমসি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশী শ্রমিকদের আবার হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেন। এতে খনি শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ৫০০ শ্রমিক খনির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসেন। অভিযোগে বলা হয়, শ্রমিকরা খনির বাইরে না আসতে পারলেও, খনির কর্মকর্তা ও চীনা নাগরিকরা প্রতিনিয়ত খনির বাইরে যাতায়াত করছেন। এর ফলে খনির ২৬ জন শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো: কামরুজ্জামান খান বলেন, কাজ ছেড়ে যাওয়া শ্রমিকরা সবাই চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক। খনির ১৩১০ ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য গত ২০১৭ সালের ১৭ আগস্ট চীনা কোম্পানি সিএমসির এক্সএমসির সাথে চার বছরের চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি মোতাবেক চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। চুক্তির মেয়াদ চলতি বছর ১০ আগস্ট শেষ হবে। কিন্তু ওই ফেইজে এখনো দেড় লাখ মে. টন কয়লা উত্তোলন করা যাবে। নতুন চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকবে। তিনি আরো বলেন, নতুন চুক্তি হলে ১৩১০ ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলনের পর নতুন ফেইজ ১৩০৬ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উত্তোলিত কয়লা দিয়ে উৎপাদন হচ্ছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ। দীর্ঘদিন কয়লা উত্তোলন থাকলে হুমকির মুখে পড়তে পারে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র।

 


আরো সংবাদ



premium cement