১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লকডাউনে সবকিছু খোলা, কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ : মান্না

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের মানববন্ধন: নয়া দিগন্ত -

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, দেশে লকডাউন চলছে। সবকিছু খোলা, কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ১৪ মাস ধরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খোলা নেই। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ভেবে দেশের সব নাগরিক উদ্বিগ্ন। সবাই জানেন, ইন্টারনেটের কারণে আমাদের কিশোররা বিপদগামী হচ্ছে। অথচ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তার ওপরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নাকি কোনো চাপ নেই। এরা কী ধরনের মন্ত্রী? মান্না বলেন, একটা কী সুন্দর দেশের স্বপ্ন দেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু আমাদের সব আশা আকাক্সক্ষাকে হত্যা করে এ সরকার স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। মানববন্ধনে আরো বক্তৃতা করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, কৃষকদল নেতা মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়, এস এম সরোয়ার জাহান, মুসা ফরাজী প্রমুখ।
খালেদা জিয়াকে একটা মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন জেলে থাকতে হয়েছে উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, তাকে ১৭ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। প্রতিবছর আমাদের দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। অর্থমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন, অর্থপাচার হয় নাকি? কারা করে আমাকে লিস্ট দেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। অথচ সবাই জানে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছেন, বিদেশে কারা কারা বাড়ি বানায়, কারা বেগম পাড়ায় বাড়ি বানায়, কারা সেকেন্ড হোম করে, কারা লাখো কোটি টাকা বিদেশে ব্যাংকে জমা রাখে আমরা তাদের চিনি।
মান্না বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কিশোর-তরুণরা ইন্টারনেটের প্রভাবে বিপথগামী হচ্ছে। সারা দেশে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকরা সোচ্চার কণ্ঠে দাবি করছেন- যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। সকল অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বলছি, আপনারা আওয়াজ তুলুন। না হলে এ দেশ মূর্খতা ও অন্ধকারে নিপতিত হবে।
টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবার টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আজকের পত্রিকাতেই পাবেন, সরকারের হাতে যত টিকা আছে, সেগুলো দেয়ার পরও বাংলাদেশের মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ কেবল টিকা পাবে। আমরা দেখছি, এ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় করোনার প্রতি, মানুষের স্বাস্থ্যের প্রতি, মানুষের জীবন-জীবিকার প্রতি কত বড় অবহেলা প্রদর্শন করেছে। দেশে স্বাস্থ্যখাত বলে যে কিছু আছে, সেটা মানুষ দেখতে পাচ্ছে না। ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, পত্রিকাতেই ছাপা হয়েছে সীমান্তের তিনটি জেলায় এখন পর্যন্ত কোনো আইসিইউর ব্যবস্থা করা হয়নি, অক্সিজেন নেই। এই যখন পরিস্থিতি, তখন আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি- এ সরকারের হাতে এ দেশের সাড়ে ১৭ কোটি মানুষ নিরাপদ নয়।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল