২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এখনো ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ

গন্তব্যে ফিরতে নানা বিড়ম্বনা
-

এখনো ঢাকামুখী যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া পরিশোধসহ যাত্রীদের ঢাকাসহ গন্তব্যে ফিরতে পোহাতে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনা।
মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও গাড়ির চাপ আগের চেয়ে কমেছে। তবে ঢাকামুখী যাত্রী ও গাড়ির প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে গাড়ি ও যাত্রী বোঝাই ফেরি ছেড়ে আসছে। অপরদিকে মাওয়া ঘাটের ফেরিগুলো ফাঁকা যাচ্ছে বাংলাবাজারের দিকে। এতদিন উভয়মুখী যাত্রীর ঢল থাকলেও গতকাল একমুখী যাত্রীর ঢল নেমেছে মাওয়ায়। সবগুলো ফেরি চলাচল করছে মাওয়া শিমুলিয়া ও বাংলাবাজার রুটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাটে এসে যাত্রীদের ঢাকাসহ গন্তব্যে ফিরতে পোহাতে হচ্ছে বিড়ম্বনা। গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। এখন বেশির ভাগ যাত্রীর ভরসা সিএনজিচালিত অটোরিকশা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে চালকরা দুই-সরেজমিন দেখা যায়, শিমুলিয়ার তিনটি ফেরিঘাটের সামনে সারি সারি করে সিএনজি রাখা হয়েছে। প্রতিটি সিএনজিতে পাঁচ-ছয়জন করে যাত্রী নেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধির একেবারে তোয়াক্কা করছে না এসব পরিবহন।
সিএনজিগুলো অন্য সময় শিমুলিয়া ঘাট থেকে জনপ্রতি ঢাকার পোস্তগোলা, নয়াবাজার, নারায়ণগঞ্জে ১৫০ টাকা, সায়েদাবাদে ১৫০-১৭০ টাকা, মোহাম্মদপুরে ৩০০ টাকা, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুক্তারপুরে ১০০ টাকা ভাড়ায় নিয়মিত যাতায়াত করত। তবে বর্তমানে প্রতিটি রুটেই দুই-তিনগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। বর্তমানে শিমুলিয়া ঘাট থেকে পোস্তগোলা ও নয়াবাজারে ৩০০ টাকা, সায়েদাবাদে ৩৫০-৪০০ টাকা, মোহাম্মদপুরে ৫০০-৬০০ টাকা, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুক্তারপুরে ২০০ টাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৩০০-৪০০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এ ব্যাপারে শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ঘাটে এখন ১৮টি ফেরি চলছে। ওপার থেকে যাত্রীরা ফেরিতে চড়ে আসছে। শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী-গাড়ি কোনোটারই চাপ নেই। তবে ওপারে কিছুটা চাপ রয়েছে।
রাজবাড়ী সংবাদদাতা জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে বাড়তে শুরু করেছে ঢাকামুখী মানুষের চাপ। গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে তিন চাকার যানবাহনে ভেঙে ভেঙে ফেরি ঘাটে আসছে। অন্যদিকে ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে না পারা অনেক যাত্রী আবার ঈদের তিন দিন পরও ফিরছে বাড়িতে। তবে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা স্পেশাল পাওয়ারে কিছু বাস ফেরিতে পার হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে ফেরি পারাপার হচ্ছে হাজারো যাত্রী। নেই সামাজিক দূরত্ব। আবার অনেক যাত্রীর মুখেই নেই মাস্ক।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মজিবর রহমান জানান, সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ রয়েছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে কিছু ছোট গাড়ি ও শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এই রুটে ছোট বড় মিলে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।


আরো সংবাদ



premium cement