২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দ্বিতীয় ডোজের জন্য রাশিয়া ও চীনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

-

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, যাতে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারি তার জন্য রাশিয়া ও চীনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছি। এর মধ্যে একটা না একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ভ্যাকসিন এখনো আমাদের হাতে কিছু মজুদ আছে। ভ্যাকসিন যারা নিয়েছি তাদের অনেকই মনে করেন তাদের করোনা হবে না। কিন্তু যারা দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তাদের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই স্বাস্থ্যবিধি আমাদের অবশ্যই মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আমাদের অবস্থা ভারতের চেয়েও খারাপ হবে। আমরা এটা চাই না, করোনা সারা বিশ^কে নাড়া দিয়েছে। ভারতে লাশের পাশে আরেক লাশ সৎকার হচ্ছে। একটু অক্সিজেন পাওয়ার জন্য সেখানে করোনা আক্রান্ত মানুষ ছোটাছুটি করছে। অক্সিজেনের অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। আমাদের দেশে ওষুধ ও অক্সিজেনের অভাব হয়নি। আমাদের দেশে প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ টন অক্সিজেন লাগে। দেশে অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে ২০০ টন। আগামী মাসে আরো ৪০ টন অক্সিজেন উৎপাদন হবে। এতে আমাদের অক্সিজেনের অভাব হবে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আমাদের অবস্থা খারপ হয়ে যাবে। শুক্রবার বিকেলে মানিকগঞ্জ শুভ্রসেন্টারে দুস্থদের মাঝে খাদ্যসহায়তা বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌসের সভাপতিত্বে দুই হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসহায়তা বিতরণকালে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোটে আব্দুল মজিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র রমজান আলী, মানিকগঞ্জ সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরো বলেন, বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণ হয়েছিল। তবে আবার করোনা বেড়ে গেছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য দেশে দুই হাজার বেড ছিল। এখন ঢাকা শহরে রয়েছে আট হাজার বেড। সারা দেশে রয়েছে ১৩ হাজার বেড। গত এক বছরে সারা দেশে ১৩০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে একটি মাত্র ল্যাবে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল। বর্তমানে সারা দেশে ৪০০ ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ঈদকে সামনে রেখে যেভাবে মানুষজন তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে দোকানপাটে ভিড় করছে, তাতে আমি শঙ্কিত। ফেরিঘাটে যে হারে মানুষজন যাচ্ছে তাতে কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ১০০ জন মানুষের পরিবর্তে এক হাজার মানুষ এক ফেরিতে পার হচ্ছে। আমাদের বেখেয়ালিপনায় যেন দেশের ক্ষতি না হয় সেই দিকে সবাইকেই লক্ষ রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সারা দেশে লকডাউন চলছে, এতে অনেক মানুষ কষ্টে আছে। সরকারিভাবে মানুষজনকে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সমাজের বিত্তবানদের এই সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। লকডাউনের কারণে দেশে করোনায় আক্রান্তের হার ২৪ থেকে ৮-এ নেমে এসেছে। মৃত্যুর মিছিলে ১১২তে এখন ৫০-এ নেমে এসেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়তে সময় লাগবে না।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল