২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের আহ্বান বাংলাদেশের

-

শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি বলেছেন, শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর ওপর অর্পিত বহুমুখী দায়িত্ব যথাযথভাবে পরিপালনের জন্য পর্যাপ্ত ও টেকসই বাজেট প্রয়োজন। মিশনগুলো যথোপযুক্ত বাজেট পেল কিনা তাও নিশ্চিত করা জরুরি।
শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য ও পুলিশ প্রেরণকারী দেশগুলো যাতে তাদের শান্তিরক্ষী ও সাজ-সরঞ্জাম মোতায়েনের অর্থ যথাসময়ে পায় তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
গতকাল জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর বাজেট সেশনে দেয়া বক্তব্যে রাবাব ফাতিমা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ বর্তমানে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। বিশ্বের সাতটি মিশনে বাংলাদেশের প্রায় সাত হাজার শান্তিরক্ষী কর্মরত রয়েছেন।
রাবাব ফাতিমা বলেন, করোনা মহামারীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের সঙ্ঘাতপ্রবণ অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অব্যাহত ও নিবেদিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই বাজেট বরাদ্দের সময় বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় বাড়তি অর্থের জোগান যাতে দেয়া হয়, সেজন্য জাতিসঙ্ঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ আরো বাড়ানোর ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকারের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপগুলোর কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, শান্তিরক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়টি বাংলাদেশের ‘নারী, শান্তি ও সুরক্ষা’ বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার মূল কৌশলের একটি। শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, বিশেষ করে এর উচ্চ পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ কম থাকার বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বলেন, জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সর্বস্তরে নারীর পূর্ণ, কার্যকর এবং অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে অবশ্যই আমাদেরক সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বাজেট বরাদ্দের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ পরিষদের পঞ্চম কমিটির সভা প্রতি বছর মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement