১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

-

কোভিড পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তরণ নিশ্চিত করতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উন্নত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে ২৫ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ দুই হাজার ১৫০ কোটি টাকা। পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য এ ঋণের সুদের হার হচ্ছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। তবে এর সাথে যোগ হবে অপরিশোধিত অর্থের জন্য শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ এবং অনুত্তোলিত অর্থের বার্ষিক সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ দিতে হবে।
গতকাল বিশ্বব্যাংকের সাথে এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘অর্থনৈতিক সম্পক বিভাগ’ (ইআরডি)। চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন সই করেন।
চুক্তির বিষয়ে ইআরডি জানায়, দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত এবং মানসম্পন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ ও পরিবেশ তৈরিসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থার সংশ্লিষ্টতায় সহায়ক কিছু নীতিকৌশল/বিধিবিধান সংস্কার ও আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারকে তিন বছর মেয়াদে (২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১) ‘ভেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট’ (ডিপিসি) হিসেবে মোট ৭৫ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিতে সম্মত হয় বিশ্বব্যাংক। এ ধারাবাহিকতায় ‘থার্ড প্রোগ্রামেটিক জবস ভেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট’ (ডিপিসি-৩)-এর আওতায় তিন বছর মেয়াদি সহায়তার শেষ কিস্তির অর্থ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
ইআরডি জানায়, সরকারের এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছেÑ বিনিয়োগ ও ব্যবসাবাণিজ্যের পরিবেশ আধুনিকায়ন; শ্রমিকদের সুরক্ষা ও সব ধরনের অভিঘাত মোকাবেলার সক্ষমতা জোরদারকরণ এবং পিছিয়ে পড়া/দুস্থ জনগোষ্ঠীর অধিক হারে কর্মে প্রবেশ নিশ্চিতকরণে নীতি ও কর্মসূচি উন্নয়ন।
ঋণ চুক্তির বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিন ধাপের ঋণ সহায়তার এটি শেষ কিস্তি। মানসম্পন্ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে সংস্কার এ ঋণ সহায়তার মূল লক্ষ্য। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারে এই আর্থিক সহায়তা অধিকসংখ্যক ও উন্নত কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়ক হবে। এ ঋণ সহায়তার আওতায় বাংলাদেশ সরকার প্রায় ৫০ লাখ কর্মসংস্থানের নিরাপত্তা দিয়েছে, বেতন প্রদানে অসমর্থ কারখানার শ্রমিকদের বেতন দেয়া হয়েছে এবং কোভিড পরিস্থিতিতে দেশে ফেরত আসা বেকার প্রবাসীদের সহায়তা দেয়া হয়েছে।
চুক্তি সইয়ের সময় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, মহামারী দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর আঘাত হেনেছে। এ পরিস্থিতিতে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদান এবং অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ আর্থিক সহায়তা বাংলাদেশ সরকারকে নীতিগত সহায়তা দেবে।


আরো সংবাদ



premium cement