চট্টগ্রামে আধিপত্যের দ্বন্দ্বে ছাত্রলীগ নেতা খুন, আটক ৬
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ০৯ মার্চ ২০২১, ০১:৩৫
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় আধিপত্যের দ্বন্দ্বে ছাত্রলীগ নেতা ইমন রনি (২৭) খুনের ঘটনায় গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা সবাই ছাত্রলীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মী। রোববার রাতে দুই পক্ষে সংঘর্ষ চলাকালে ইমন রনি খুন হন। নিহত ইমন আরেফিন নগরের মুক্তিযোদ্ধা কলোনির নুর কাশেমের ছেলে। তিনি বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের পাল্টা কমিটির সদস্য ছিলেন।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আটককৃতরা হলেনÑ আরেফিন নগর আস্তানা নগর এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ আহসান কবির (২৬), একই এলাকার হোসেন মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (২৯), আরেফিন নগর মুক্তিযোদ্ধা কলোনির শিমুলের বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ ফজর আলী (২৯), আরেফিন নগর রাজা মিয়ার বাড়ির মোহাম্মদ রাজা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ লিটন (২৮), আরেফিন নগর ড্রাম গেট এলাকার আলী জহিরের ছেলে মোহাম্মদ নুর আলম (২৭) এবং আরেফিন নগর বাজার ফিরোজ মিয়া কলোনির মোহাম্মদ রুবেল।
গত রোববার রাতে বায়েজিদের আরেফিন নগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’ গ্রুপের সংঘর্ষে মোহাম্মদ ইমন রনি নিহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত ইমন ছিলেন আরেফিন নগর এলাকার সোহেলের অনুসারী।
রোববার রাতে মুক্তিযোদ্ধা কলোনি এলাকায় দুই গ্রুপে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ইমন ছিল তার বাসার সামনে। প্রত্যদর্শীরা জানান, মারামারির একপর্যায়ে প্রথমে ইমনকে ইট দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনার পর ইমন মারা যান। নিহত ইমন পেশায় সিএনজি চালক হলেও সদ্য ঘোষিত বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন।
বায়েজিদ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই বিমল কান্তি নাথ বলেন, গতকাল বিকেলে ইমনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। যাদের আটক করা হয়েছে মামলার বাদি যদি তাদের মধ্যে কাউকে শনাক্ত করেন তাহলে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখানো হবে।