গলা কেটে নিজের সন্তানকে হত্যা : মায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কিশোরগঞ্জে নিজের ১৫ মাসের শিশুসন্তানকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মা সালমা বেগমকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম গতকাল সোমবার বিকেলে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সালমা বেগম কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের প্যারাভাঙ্গা গ্রামের আসাদ মিয়ার মেয়ে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের টামনি আকন্দপাড়ার আবুল কালামের সাথে বিয়ে হয় সালমার। তাদের দু’টি সন্তান ছিল। ঘটনার ৮-১০ দিন আগে দুই সন্তান তাইয়্যেবা (৪) ও মাহাথির মোহাম্মদকে (১৫ মাস) নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। ২০১৬ সালের ৫ মার্চ সকালে বাবার বাড়িতে সালমা বেগম দা দিয়ে ১৫ মাস বয়সী শিশুসন্তান মাহাথির মোহাম্মদকে গলা কেটে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ সে দিনই সালমাকে আটক করে। ওই দিনই স্বামী আবুল কালাম বাদি হয়ে কিশোরগঞ্জ থানায় স্ত্রী সালমাকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরদিন সালমা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। জবানবন্দীতে তিনি বলেন, শিশুপুত্রের কান্নাকাটিতে অস্থির হয়ে তিনি নিজের ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করেন। এ সময় তার মাথা ঠিক ছিল না বলেও জবানবন্দীতে দাবি করেন তিনি।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন মোল্লা একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। শুনানি শেষে আদালত গতকাল এ রায় দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সৈয়দ শাহজাহান এবং আসামি পক্ষে ছিলেন মাজহারুল ইসলাম খান বাচ্চু।