২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
১ জুলাই থেকে কার্যকর

শুল্ক ও কর ২ লাখ টাকার বেশি হলেই ই-পেমেন্টে

-

আমদানি, রফতানিতে পণ্য চালানের বিপরীতে দুই লাখ টাকার বেশি শুল্ক ও কর পরিশোধে ইলেকট্র্রনিক পেমেন্ট বা ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগামী অর্থবছরের (২০২১-২২) ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর করা হবে। এ ছাড়া আগামী ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সব পরিমাণ শুল্ক ও কর ই-পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধ বাধ্যতামূলক করেছে সংস্থাটি। এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুমেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রাজস্ব বোর্ডের এ তথ্য জানানো হয়।
রাজস্ব বোর্ডের ওই কর্মকর্তা জানান, তবে কাস্টম হাউজ আইসিডি কমলাপুরকে আগামী এপ্রিল থেকে পণ্য আমদানি ও রফতানিতে পরিশোধযোগ্য সব শুল্ক ও কর ই-পেমেন্টে নিতে বলেছে রাজস্ব বোর্ড। রাজস্ব বোর্ডের কাস্টম, নিরীক্ষা, আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সদস্য খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়।
এর আগে, গত ২৭ জানুয়ারি কাস্টম দিবসের এক সভায় চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে দুই লাখ টাকার বেশি কর ইলেকট্রনিক পেমেন্ট বা ই-পেমেন্টের মাধ্যমে আদায় করা হবে বলে জানিয়েছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো: রহমাতুল মুনিম। রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতেই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানান তিনি।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, কমলাপুরের আইসিডি ও ঢাকা কাস্টম হাউজে ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে সব ধরনের বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে। এটি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হবে। ওই বছরের জুলাই থেকে দেশের সব শুল্ক হাউজ ও শুল্ক স্টেশনে দুই লাখ টাকার বেশি শুল্ক-কর হলে ই-পেমেন্ট করতে হবে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে শুল্ক-কর পরিশোধের সীমা থাকবে না। এর পাশাপাশি অন্যান্য মাশুলও ই-পেমেন্টের আওতায় চলে আসবে।
এ দিকে গত ২০১৭ সালে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিন্তু তার কাক্সিক্ষত সুফল গত দুই বছরে মেলেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে এক হাজার ১৩০ কোটি টাকার রাজস্ব পাওয়া যায়। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে চার হাজার ১১০ কোটি টাকা পাওয়া যায়। বর্তমানে ১৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ই-পেমেন্ট ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত আছে। ই-পেমেন্ট ব্যবস্থায় আমদানিকারক বা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের ব্যাংক হিসাব থেকে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি ট্রেজারিতে অর্থ পরিশোধ করা যায়। ফলে আমদানিকারক বা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নির্বিঘেœ দ্রুত রাজস্ব পরিশোধ করতে পারবেন। এতে আমদানি-রফতানিপর্যায়ে শুল্ক-কর পরিশোধে জালিয়াতির ঝুঁঁকি কমে যাবে। কিছু পণ্য রফতানিতেও শুল্ক দিতে হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement