নেত্রকোনায় দুই পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
- নেত্রকোনা সংবাদদাতা
- ০৬ মার্চ ২০২১, ০০:৪২
নেত্রকোনার মদন থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম ও এএসআই আসাদুজ্জামাননের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মদন উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জামাল ভূঁইয়া নেত্রকোনা পুলিশ সুপার বরাবর এই অভিযোগ পেশ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, অভিযোগকারী জামাল ভূঁইয়ার চাচাতো ভাইয়ের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী তানিয়া আক্তার শিপার অভিযোগের তদন্ত করতে গত ২ ফেব্রুয়ারি কামরুল হাসানের বাড়িতে যান। অভিযুক্ত এসআই আশরাফুল ইসলাম ও এএসআই আসাদুজ্জামান। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর ওই দুই পুলিশ সদস্য ফতেহপুর হাটশিয়া বাজারে জামাল ভূঁইয়ার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এই চাঁদা দেয়া হলে তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর পক্ষে কাজ করবেন। অন্যথায় তার বিপক্ষে যেতে বাধ্য হবেন বলে হুমকি প্রদান করেন। জামাল ভূঁইয়া চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন ওই দুই পুলিশ। এ সময় বাধ্য হয়ে জামাল ভূঁইয়া বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ তার চাচাতো ভাই বলে পরিচয় দেয়ায় তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন ‘পুলিশ সুপার আর যাই হোক তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। ব্যবসা করতে হলে চাঁদা আমাদের দিতেই হবে। আমরা হলাম এইখানকার রাজা। বাড়াবাড়ি করলে মাদক মামলা দিয়ে ঢকিয়ে দেবো। তখন দেখবো কোনো এসপি তোদের বাঁচায়। ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরায় তা রেকর্ড হয়ে গেলেও ওই দুই পুলিশ সদস্য তা বুঝতে পারেননি। এই চাঁদা দাবির অভিযোগ আনয়ন করে গত বুধবার জামাল ভূঁইয়া পুলিশ সুপারের কাছে এক লিখিত অভিযোগ পেশ করেন।
অভিযুক্ত এএসআই আসাদুজ্জামান তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা