২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
দুদকের অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রমাণিত

জীবন বীমার ৬০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ফার্স্ট ফাইন্যান্স এমডির

-

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তুহিন রেজার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগের সত্যতা মিলেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানের এমডি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ও পদে থেকে জনবল নিয়োগ এবং প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, তুহিন রেজার বিরুদ্ধে ২০২০ সাল থেকে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। ইতোমধ্যে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বলেন, গত ৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তুহিন রেজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও অনেক প্রশ্নের কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। তার বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বলে অনুসন্ধান কর্মকর্তা জানান।
দুদক সূত্র জানায়, ফার্স্ট ফাইন্যান্সের এমডির বিরুদ্ধে জীবন বীমা করপোরেশনের মেয়াদোত্তীর্ণ ৬০ কোটি টাকা মেয়াদি আমানতের সুদসহ তহবিল ফেরত না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভিস রুল ও বিধিবিধান লঙ্ঘন করে চাকরি নেয়া, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানের এমডি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এবং এমডি হওয়ার পর নিজ ক্ষমতাবলে প্রতিষ্ঠানে ঘুষের বিনিময়ে জনবল নিয়োগের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ গড়ারও অভিযোগ রয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে ফার্স্ট ফাইন্যান্সের এএমডি পদে ছিলেন তুহিন রেজা। ওই সময় তিনি ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব পান। দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছু জনবল নিয়োগ দেন। এ জন্য তিনি মোটা অঙ্কের ঘুষ নেন।
এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানে থেকে নানাভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ অর্থও আত্মসাৎ করেন। এসব অভিযোগ ওঠার পর ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তলব করে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক মো: গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত চিঠিতে তুহিন রেজাকে ৫ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় দুদকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। কিন্তু তিনি ওই সময় দুদকে হাজির হননি। পরে তিনি ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি দুদকে হাজির হন। ওই দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ২৮ অক্টোবর ইস্যু করা চিঠিতে বলা হয়, তুহিন রেজার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভিস রুল ও বিধিবিধান লঙ্ঘন করে চাকরি গ্রহণ, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম এবং দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
তুহিন রেজা সে সময় দাবি করেছিলেন ২০১৬ সালে ফার্স্ট ফাইন্যান্সের এএমডি পদের পাশাপাশি তিনি কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্বে ছিলেন।
ওই সময় কাজের প্রয়োজনেই প্রতিষ্ঠানটিতে ১২ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হয়েছিল। যাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, তারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত ছিলেন। অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। সেসব কর্মীর নিয়োগ নিয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন পক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ দেয়।
পরবর্তীতে অভিযোগের নিষ্পত্তিও হয়ে যায়। তারপরও হঠাৎ করে দুদক থেকে তাকে চিঠি দেয়া হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

সকল